বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইউনাইটেড নেশন জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে (United Nation General Assembly) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভার্চুয়ালি বক্তব্য পেশ করেছিলেন। চিরাচরিত ভাবে তিনি কাশ্মীর ইস্যু আবারও বিশ্ব মঞ্চের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। এমনকি পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের হাতে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবেও আখ্যা দেন। কিন্তু, প্রতিবারের মতো এবারও ভারত পাকিস্তানের মুখ বন্ধ করে দেয়। ভারতের প্রথম সেক্রেটারি স্নেহা দুবে (india First Secretary Sneha Dubey) রাইট টু রিপ্লাই অনুযায়ী পাকিস্তানকে মোক্ষম জবাব দেন।
স্নেহা দুবে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে। মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী ওসামা বিন লাদেনেরও প্রসঙ্গ টেনে আনেন স্নেহা। তিনি বলেন, পাকিস্তান লাদেনকে শরণ দিয়েছিল আর এই পাকিস্তানই লাদেনকে শহীদ বলে আখ্যা দেয়। পাকিস্তান প্রতিবেশীদের ক্ষতি করার জন্য নিজেদের ঘরে জঙ্গিদের লালন পালন করে। স্নেহা বলেন, নিজেই আগুন লাগিয়ে পাকিস্তান নিজেদের ফায়ার ফাইটার বলে।
গোটা বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দেওয়া স্নেহা দুবে ২০১২ ব্যাচের IFS অফিসার। উনি প্রথম প্রয়াসেই UPSCতে সফলতা হাসিল করেছিলেন। IFS হওয়ার পর ওনাকে বিদেশ মন্ত্রালয়ে নিযুক্ত করা হয়। ২০১৪ সালে ম্যাদ্রিদের ভারতীয় দূতাবাসে পাঠানো হয় স্নেহাকে। বর্তমানে তিনি রাষ্ট্রসংঘের মহাসভায় ভারতের প্রথম সচিব। স্নেহা JNU থেকে পড়াশোনা করেছেন। JNU থেকে MA আর MPhil করেছেন স্নেহা। ওনার প্রাথমিক শিক্ষা গোয়াতে হয় আর এরপর পুণের ফার্গুসন কলেজ থেকে তিনি গ্র্যাজুয়েট করেন।
ইমরান খান নিউ ইউর্কে আসেন নি, উনি ভার্চুয়ালি ভাবে রাষ্ট্রসংঘের মহাসভায় কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরেন। ইমরান খান বলেন, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে শান্তির সম্পর্ক চায়।। দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি জম্মু-কাশ্মীর বিবাদের সমাধানের উপর টিকে রয়েছে। শান্তি স্থাপিত করার দায় ভারতের উপর চাপিয়ে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে স্বার্থক আর শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি বানানো ভারতের দায়িত্ব।