ছিল সোনার তালুক, এখন যেন ঠিক ভূতের শহর! সেই KGF খনি নিয়ে এবার নয়া পদক্ষেপ সরকারের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কন্নর ছবি কেজিএফের দৌলতে এখন বেশ পরিচিত কোলার গোল্ড ফিল্ড। এই জায়গায় ছিল সোনার তালুক। সোনালিরঙা কম ক্ষয়বিশিষ্ট বিরল ধাতু মিলত এখানে। তবে ২০০১ সালের পর অনেকেই ভুলতে বসেছিলেন কেজিএফের নাম। এই ‘সোনার শহর’ এখন পরিণত হয়ে ‘ভূতের শহর’ হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেজিএফের সেই সোনার খনি আবার চালু করার।

এই খনি নতুন করে খোলার প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে কর্ণাটক সরকার (Karnataka Government)। এছাড়াও কেজিএফের হাজার একর এলাকা জুড়ে যে ১৩টি খনি বর্জ্যের পাহাড় রয়েছে, রাজ্য সরকার সেই খনি নিলামে তোলার প্রস্তাবেও সায় দিয়েছে বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কেজিএফের ১৩টি বর্জ্য পাহাড়ে রয়েছে প্রায় প্রায় ৩.৩০ কোটি টন নিষ্কাশিত বর্জ্য।

আরোও পড়ুন : ভোট প্রচারের জন্য তড়িঘড়ি উদ্বোধন! দিল্লি বিমানবন্দরে দুর্ঘটনা নিয়ে মোদীকে একহাত তৃণমূলের

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি ১০০০ কেজি বর্জ্যের প্রক্রিয়াকরণে এক গ্রাম করে সোনা (Gold) মিলতে পারে। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক হয় গত সপ্তাহে। সেই বৈঠকেই কেজিএফের খনি নতুন করে চালু করার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত,  ‘ভারত গোল্ড মাইনস লিমিটেড’ (বিজিএমএল) নামক সরকারি সংস্থার মালিকাধীন এই কেজিএফের খনিগুলি।

gold mines(1)

১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই সংস্থা। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৫ সালে বিজিএমএল-সহ পুরনো খনিগুলি চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই ভাবেই কেজিএফ আবার চালু করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তাব পাঠায় কর্ণাটক সরকারকে। কর্নাটকের আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এইচকে পাতিল জানান, আবার কেজিএফ খনি চালু হলে কাজ পাবেন অসংখ্য মানুষ।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর