প্যান্ডেল থেকে ফুচকা খুলে খেয়ে নিচ্ছেন দর্শনার্থীরা! চরম বিপদে উদ্যোক্তারা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফুচকা (Fuchka) মানেই জিভে জল নিশ্চিত। আর এই পুজোর মরশুমে দু একটা ফুচকা মুখে পোরেনা, এমন বাঙালি খুজে পাওয়া দায়। কাঁচা পেঁয়াজ, লঙ্কা, ছোলা দিয়ে মাখা আলুর পুর আর টক ঝাল তেঁতুলের জল__মুখে দেওয়া মাত্র যেন স্বর্গীয় অনুভূতি। তবে এবার এই ফুচকা নিয়েই হয়েছে যত বিপত্তি। সপ্তমী পার হতে না হতেই মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েছে একদল মানুষ।

আসলে এবার এই লোভনীয় খাবারকেই পুজোর থিম হিসেবে বেছে নিয়েছে বেহালার (Behala) নতুন দল (Natun Dal)। শিল্পী অয়ন সাহা তার পুজো থিম ‘তুষ্টি’কে বাস্তবায়িত করার জন্য বেছে নিয়েছিলেন ফুচকাকেই। আর তাকে সঙ্গ দিয়েছিল দুই ওলন্দাজ শিল্পী। মণ্ডপে ঢোকা থেকে বেরোনো পর্যন্ত সবটাই কেবল ফুচকা। এই গোটা মণ্ডপ সাজাতে প্রায় ১ লাখেরও বেশি ফুচকা লেগেছে। তবে পুজো মণ্ডপ জন্য উন্মুক্ত করার পর থেকেই দেখা দিয়েছে নতুন সমস্যা।

লোভনীয় এই খাবারের মূল দুই আকর্ষণ আলুমাখা, তেঁতুল জল না থাকলেও শুধু ফুচকা দেখেই লোভ সামলাতে পারেননি অনেকেই। ঐ ফুচকা খেয়ে ফেলেছেন কি না তা জানা যায়নি, তবে খুলে নিয়েছেন অনেকেই। সপ্তমী পার হতে না হতেই মণ্ডপ থেকে প্রায় অর্ধেক ফুচকা নাকি উধাও। দর্শকরা মানেনি কোনও নিষেধাজ্ঞা। আর তাতেই মাথায় হাত পড়েছে পুজো কমিটির।

আরও পড়ুন : জেলায় জেলায় পৌঁছে গেল ‘শ্যামাপ্রসাদ দুর্গোৎসব সম্মান’! অনির্বাণ গাঙ্গুলীর উদ্যোগ পেল বিপুল সাড়া

এই প্রসঙ্গে সন্দীপনবাবু বলেছেন, ‘ফুচকা কমবেশি সবাই ভালবাসেন। মণ্ডপে ঢুকে হাতের নাগালে ফুচকা পেয়ে কেউ লোভ সামলাতে পারছেন না। মণ্ডপের থেকেই ফুচকা তুলে নিচ্ছেন!’ আসলে সমস্যাটা মণ্ডপ সজ্জা নষ্ট হওয়ার থেকেই বেশি কেউ খেয়ে ফেলাতে। কারণ সমস্ত ফুচকা যাতে মুচমুচে থাকে তার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ কেমিক্যাল। আর সেই কেমিক্যাল কারও পেটে গেলেই ঘটবে বিপত্তি।

আরও পড়ুন : ‘নিজেদের স্বার্থে ইচ্ছাকৃত কম…’, বাঘা যতীন রিলিজ হতেই বিষ্ফোরক দেব

এই প্রসঙ্গে সন্দীপনবাবুর উদ্বেগ, ‘ফুচকা কীভাবে আটকে রাখা যাবে বলুন। কিন্তু এই ফুচকায় কেমিক্যাল থাকায় চিন্তা রয়েছে আমাদের। শরীর খারাপ হতে পারে। আমরা বারণ করছি সকলকেই।’ তবে কপাল ভাল যে, এখনও পর্যন্ত এমন বিপদের কথা উদ্যোক্তাদের কানে আসেনি। তবুও ভয় তো একটা থেকেই যায়। পাশাপাশি পুজো কমিটির আশঙ্কা, এতে মণ্ডপসজ্জারও অনেকাংশ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর