বাংলা হান্ট ডেস্কঃ খাস কলকাতায় ফের অগ্নিকাণ্ড (Kolkata Fire)। খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ বাজারে মধ্যরাতে বিধ্বংসী ভস্মীভূত অন্তত ১৩০০টি দোকান (Khidirpur Market Fire)। খবর পেয়েই দমকলের ২০টি ইঞ্জিন পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। এখনও আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। ভয়াবহ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার ভোরেই ঘটনাস্থলে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। এদিকে দমকলমন্ত্রী স্পটে পৌঁছতেও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিরাট ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা | Kolkata Fire
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও পকেট ফায়ার রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে দমকল না পৌঁছনোয় বিপদ বেড়েছে। কী কারণে এই আগুন? তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। এর মধ্যে স্বস্তির খবর হল গোটা দুর্ঘটনায় হতাহতেরও কোনও খবর নেই।
এলাকাবাসী, ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, খবর দেওযার ঘণ্টাদেড়েক পর দমকল এসেছে। হতাহতেরও খবর না মিললেও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যে বিশাল , তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। দমকল দেরিতে পৌঁছনোর অভিযোগ প্রসঙ্গে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ‘‘একটা গাড়ি আসতে গেলেও তো কিছু সময় লাগে। ওয়াটগঞ্জ, গার্ডেনরিচ থেকে দমকলের গাড়ি এসেছে। জীবন বিপন্ন করে কাজ করেন আমাদের লোকজন।’
আরও পড়ুন: গর্ভে সন্তান, এই অবস্থায় কীভাবে পরীক্ষায় বসব? হাইকোর্টে ছুটলেন চাকরিহারা শিক্ষিকা
সুজিত বসু আরও বলেন, “দোকান করার সময়ে অনেকেই ঠিক মতো নিয়ম মানেন না। আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না। একটা ঘটনা ঘটেছে, আমরা দেখব।’’ স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রবিবার রাত ১টার কিছু পরে খিদিরপুর বাজারে আচমকাই আগুন লেগে যায়। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘিঞ্জি এলাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেবানোর চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। এদিকে দমকল অনেক দেরিতে পৌঁছায় বলে অভিযোগ।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/oC_vy-OV8LM?si=gOsw4JhL-IBTo1nH
প্রশাসন, দমকলের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে এক ব্যবসায়ী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘প্রশাসন এবং দমকলের চূড়ান্ত ব্যর্থতার খেসারত দিতে হল আমাদের। ১৩০০ ব্যবসায়ী আছেন এখানে। সকলের সব শেষ হয়ে গিয়েছে। ওয়াটগঞ্জ থানা আমাদের ফোনই ধরেনি।’’ দোকান সম্পত্তি পুড়ে ছাই হওয়ায় সর্বস্বান্ত শতাধিক ব্যবসায়ী।
Made in India