বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাঁসখালি কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সমালোচনার ঝড় রাজ্যজুড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির থেকে নেটিজেন সকলেই। এহেন অবস্থায় ওই মন্তব্যের কারণেই কলকাতা হাইকোর্টকে এবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করার আবেদন জানালেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। আবেদন জমা দিলে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
সোমবার হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শুনলাম বাচ্চা একটি মেয়ে মারা গেছে। সেটা আপনি রেপ বলবেন, নাকি প্রেগনেন্ট বলবেন নাকি শরীরটা খারাপ বলবেন?… আমি পুলিশকে বলেছি, ঘটনাটা খারাপ। গ্রেফতার হয়েছে। মেয়েটার লাভ অ্যাফেয়ার ছিল।’ আরও বলেন, ‘মেয়েটি মারা গেছে ৫ তারিখ। অভিযোগ জানানো হয়েছে ১০ তারিখ। পুলিশ কীকরে তদন্ত করবে? কী করে বোঝা যাবে মেয়েটি রেপ হয়েছে নাকি প্রেগনেন্ট ছিল নাকি ধরে মারা হয়েছে নাকি শরীরটা খারাপ ছিল? কাউকে কিছু না বলেই দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হল, পুলিশকে জানানো হল না। এবার পুলিশ তদন্ত করবে কী করে?’
এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে আরও বলতে শোনা যায়,’মেয়েটির সঙ্গে ছেলেটির লাভ অ্যাফেয়ার্স এর কথা পরিবারের লোক জানত, পাড়ার লোক জানত। এটা ইউপি নয় যে লাভ জিহাদ নিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করব। কেউ কারও সঙ্গে প্রেম করলে তা আমার পক্ষে আটকানো সম্ভব নয়।’
কিন্তু নির্যাতিতার মা সাফ জানিয়েছেন, অভিযুক্তের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও তাঁর মেয়ে কোনও মতেই অন্তঃসত্ত্বা ছিল না। গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সমর গোয়ালার ছেলে ব্রজগোপাল গোয়ালাই তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। তার জেরেই মৃত্যু হয় মেয়ের। রাতে মৃত্যুর পর ওই তৃণমূল নেতার ছেলেই তড়িঘড়ি মেয়ের দেহ ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই পুড়িয়ে দেয় বলেও অভিযোগ করেছেম তিনি।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণাত্মক মন্তব্যের বিরোধিতা করে এবার কোর্তে আবেদন জানালেন ওই আইনজীবী। এখন সেই আবেদনের ভিত্তিতে কী সিদ্ধান্ত নেই কলকাতা হাইকোর্ট, তাই দেখার।