বাংলাহান্ট ডেস্ক : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Kolkata University) ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) ঠাঁই পেল এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায়। সাম্প্রতিক কিছু সমীক্ষায় কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নিয়েছে শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকার প্রথম সারিতে। এবার দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এশিয়া মহাদেশে নিজেদের জায়গা করে নিল কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
‘টাইমস হায়ার এডুকেশন এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং’-এর সাম্প্রতিক তালিকায় নাম রয়েছে কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এশিয়ার মধ্যে ৩৫৫ নম্বর স্থানে ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৩৭৩ নম্বর স্থানে। এই তালিকায় ভারতের মোট ৭৫ টি সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জায়গা করে নিয়েছে।
অন্যদিকে, কলকাতার চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতাল দেশের সেরা ক্যান্সার হাসপাতালের স্বীকৃতি লাভ করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য টুইট করে নিজে এই কথা জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী টুইটে লিখেছেন, দেশের প্রথম ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে এনএবিএইচ সার্টিফিকেট পাচ্ছে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট।
বাংলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গত কয়েক বছরে জাতীয় স্তরে বেশ সফলতা অর্জন করেছে। দুবছর আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সেরা প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ও এই সম্মানে ভূষিত হয়েছে। এশিয়া মহাদেশ ভিত্তিক এই সমীক্ষায় কলকাতা শিক্ষকতার ক্ষেত্রে স্কোর করেছে ৪৬, গবেষণার ক্ষেত্রে ১৭.৬, আর এখানে পড়ুয়া পিছু অধ্যাপকের সংখ্যা ১৫.৬।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষকতার ক্ষেত্রে স্কোর ৩৫। গবেষণা ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে ১৬.৯। একই দিনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এনএবিএইচ (ন্যাশনাল অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড ফর হসপিটাল এন্ড হেলথ কেয়ার সার্টিফিকেট) সার্টিফিকেট দিয়েছে চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালকে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উপদেষ্টা ডা. সমীরণ পন্ডার কথায়, “এটি একটি বিরল সম্মান। দেশের এক নম্বর ক্যান্সার হাসপাতাল চিত্তরঞ্জন। বিনা পয়সায় মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন। এই কর্মকাণ্ড এগিয়ে চলুক আরও।”
হাসপাতালের অধিকর্তা ডা. জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেছেন, “৪০০ টি শয্যা রয়েছে দুটি ক্যাম্পাসে। রোগীর পরিবারের থাকার জন্য কম খরচে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি ধন্যবাদ রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরকে। সর্বস্তরের কর্মীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল মিলেছে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অর্থ প্রদান করা হয়েছে। রোগীদের সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া আমাদের অঙ্গীকার।”