বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাতসকালে কলকাতার (Kolkata) কুমোরটুলি এলাকার কাশি মিত্র ঘাটে ট্রলি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার খন্ডবিখন্ড দেহ। এই ঘটনায় স্থানীয়দের তৎপরতায় ট্রলি ব্যাগ সহ আটক করা হয়েছে সন্দেহজনক দুজন মহিলাকে। এবার এই ঘটনায় জানা গেল নিহত মহিলার নাম পরিচয়। এছাড়াও এদিন গঙ্গায় যে দুই মহিলা ওই ট্রলি ব্যাগ ফেলতে এসেছিলেন জানা গেল তাদের পরিচয়ও। যার ফলে, একপ্রকার স্পষ্ট পারিবারিক বিবাদ থেকেই এই খুন হয়েছে।
ঠিক কি ঘটেছিল কুমোরটুলিতে (Kolkata)?
সূত্রের খবর, গঙ্গার ঘাটে সাতসকালে একটি ট্যাক্সি করে কলকাতা (Kolkata) নিবাসী দুজন মহিলা আসেন। গাড়ি থেকে নামতেই চালকের সাথে ভাড়া নিয়ে বচসা শুরু হয় তাদের। চেঁচামেচি শুনে বেরিয়ে আসেন এলাকার লোকজন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের বিষয়টি বেশ সন্দেহজনক মনে হয়। এরপর তাঁরাই ওই দুজন মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেন।
তারপরেই বেরিয়ে আসে চঞ্চল্যকর তথ্য। প্রথমে তারা জানিয়েছিলেন ব্যাগের মধ্যে তাদের বাড়ির পোষ্য কুকুরের দেহ আছে। ওই দেহ তারা গঙ্গায় ফেলতে এসেছেন। কিন্তু স্থানীয়দের একথা বিশ্বাস হয়নি। এরপর জোরাজুরি করে ট্রলিব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্যি। দেখা যায় ট্রলির মধ্যে রয়েছে এক মহিলার খণ্ডবিখণ্ড দেহ। তখনই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মধ্যে পুলিশ এসে ২ মহিলাকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি ট্রলিব্যাগটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: গাফিলতির জন্য তদন্ত হস্তান্তর হলেই শাস্তি! যা বললেন জাস্টিস ঘোষ…
জানা যাচ্ছে, ট্রলি ব্যাগে যে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁর নাম সুমিতা ঘোষ। আর ট্রলিব্যাগ সমেত যে ২ মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা সম্পর্কে মা-মেয়ে। তাঁদের নাম ফাল্গুনী ঘোষ এবং আরতি ঘোষ। নিহত সুমিতা দেবী সম্পর্কে ফাল্গুনীদেবীর পিসি শাশুড়ি ছিলেন। জানা গিয়েছে, এদের প্রত্যেকের বাড়ি মধ্যমগ্রাম থানা এলাকায়। তবে কী ভাবে ওই মহিলাকে খুন করা হল তা জানতে এবার স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই ধৃতদের জেরা করছে উত্তর বন্দর থানার আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে নিহত মহিলার দেহাংশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে তাঁর মৃত্যুর আসল কারণ স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।