বাংলাহান্ট ডেস্ক : কলকাতা তাপমাত্রার পারদ বাড়ছে। তবে, গরমে তীব্রতা বাড়লেও শাকসবজি কিনতে গিয়ে অবশ্য খুব একটা নাজেহাল হতে হচ্ছে না আমজনতাকে। বেশ কম দামেই কলকাতার বাজারগুলোতে মিলছে নানান ধরনের শাকসবজি। কিন্তু খাবার বাদে শুধু তার শাকসবজি রাখলে চলে না, প্রয়োজন মাছ মাংসেরও। আর সেই আমিষ পদ তৈরি করতে গিয়েই রীতিমত কালঘাম ছুটছে মধ্যবিত্তের।
কলকাতার বিভিন্ন বাজারগুলোতে ঘুরে দেখলে দেখা যাবে যে, শেষ পনের দিনে নিত্য প্রয়োজনীয় নানা সবজির (Vegetables) দাম বেশ কিছুটা কমেছে। শুধুমাত্র আলুর দাম ১৫ টাকা থেকে বেড়ে ২০ টাকা হলেও পটল, কুমড়ো, ঢ্যাঁড়শের অবশ্য স্বস্তিই দিচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যেমন পটলের দর বর্তমানে রয়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি। কুমড়ো আর ঢ্যাঁড়শের প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ৩০ টাকা।
তবে, মাছের (Fish) মূল্য কিন্তু বেশ চড়া। বড় মাছ কিনতে হলে বেশ ভালো অঙ্কের টাকাই খরচ করতে হচ্ছে। রুই মাছের দাম তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম হলেও কাতলা, ভেটকি পাবদা মাছ বিকোচ্ছে বেশ চড়া দামেই। প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২১০ টাকা দরে। অন্যদিকে, পাবদা, কাতলার দাম শুরু হচ্ছে ৩৫০ টাকা থেকে। আর এক কেজি ভেটকি কিনতে হলে অবশ্য আপনাকে অন্তত ৫০০ টাকা পকেটে রাখতেই হবে।
ফলে, বড় মাছ কেনার ক্ষেত্রে আমজনতার যখন পকেটে টান পড়ছে সেই সময় ভরসা কেবলমাত্র ছোট মাছ। যেমন আমুদি মাছের কেজি রয়েছে ১৫০ টাকা। এছাড়াও, ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকার মধ্যেই প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ পাওয়া যাচ্ছে। লোটে মাছের প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি। এছাড়া প্রতি কেজি ছোট ট্যাংরা মাছের দাম রয়েছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি।
অন্যদিকে হুম হু করে বাড়ছে মাংসের দাম। মাটনের দাম তো আগে থেকেই ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে ছিল। এখন চিকেন কিনতে গিয়েও বেশ ভালো টাকাই খরচ করতে হচ্ছে। প্রতি কেজি চিকেন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা দামে। গোটা মুরগির দাম রয়েছে ১৪৭ টাকা থেকে ১৬০ টাকা কেজি। অন্যদিকে প্রতি কেজি মাটন এর দাম রয়েছে ৭৪০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা।