বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, বাড়ি থেকে জল রাজ্যের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই কোনো না কোনো সময় উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে খাস কলকাতার বুকে শিয়ালদা সংলগ্ন রাজাবাজার এলাকায় বেআইনিভাবে ভূগর্ভস্থ জল তুলে তা বিক্রি করার ঘটনা। কোন অনুমতি ছাড়া বেআইনিভাবে ভূগর্ভস্থ জল তুলে বিক্রি করার কান্ডে এবার কঠোর পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুরসভা।
ভূগর্ভস্থ জল চুরির কথা শুনেই যা বললেন ফিরহাদ (Firhad Hakim):
অভিযোগ জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অধীনস্থ স্টেট ওয়াটার ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের কোন অনুমতি ছাড়াই রাজাবাজার সংলগ্ন এলাকায় যন্ত্র বসিয়ে ভূগর্ভস্থ জল তুলে বোতলে ভরে অবাধে বিক্রি চলছে। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পৌরসভা। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তদন্তের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। জানা যাচ্ছে কলকাতা পৌরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত শিয়ালদা নর্থ রোডের হাজিপাড়ায় বছরের পর বছর ধরে চলছিল এই কারবার।
অভিযোগ সামনে আসতেই রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রাজ্যের মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। জল এবং স্বাস্থ্য বিভাগ অবিলম্বে পুলিশের কাছে এফ আই আর করবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ। এই জল চুরির ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব এই বেআইনি কাজ বন্ধ করতে হবে। ওয়াটার সাপ্লাইকেও আমি বলেছি। তার কারণ ওয়াটার সাপ্লাই ছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনকেও সেখানে যেতে হবে। এইভাবে বিভিন্ন কোম্পানির নামে আনঅপ্রুফ বেআইনি নকল করে ব্যবসা করা হচ্ছে। এটা একটা মস্ত বড় ক্রাইম’।
আরও পড়ুন: ‘লাভ লেটারের অপেক্ষায় শুভেন্দু’! বছর শেষের আগে বসন্ত এল বিজেপি নেতার জীবনে?
এরপর রীতিমতো বিরক্ত হয়ে এদিন তিনি (Firhad Hakim) বলেন, ‘ইমিডিয়েট হেলথ এবং ওয়াটার সাপ্লাই গিয়ে এফ আই আর করে লাইন কেটে দিয়ে আসবে। ডুপ্লিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। আমাকে শচীন সিং বলেছে। এফ আই আর করতে হবে, যাতে পুলিশ ইনকোয়ারি করে দেখে এর পিছনে কি দু’নম্বরি আছে? কে আছে? কারণ এটা মানুষের জনস্বাস্থ্যের বিষয়। লাইনটাই কেটে দিতে হবে। এফ আই আর করে পুলিশ যাতে অ্যারেস্ট করে সেটা দেখতে হবে।’
এই এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর শচীন সিং প্রথমেই অবৈধ কারবারের বিষয়টি সকলের নজরে আনেন। কলকাতা পৌরসভার মাসিক অধিবেশনে তিনি মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এই বিষয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়ে অধিবেশন কক্ষে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর এদিন প্রকাশ্যে বলেছিলেন, ‘বারবার করে অবৈধ কারবারের কথা মেয়রের নজরে আনা হয়েছে, পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের নজরে আনা হয়েছে। কিন্তু কোন অদৃশ্য শক্তি এই কাজে বাধা দিচ্ছে’। মনে করা হচ্ছে শচীন সিং এইভাবে আসলে দলের একাংশের বিরুদ্ধেই ঘুরিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন। তা নিয়ে নাকি কিছুদিন বেশ চাপানউতর-ও চলেছে। এরপরেই এই বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন ফিরহাদ।