বাংলা হান্ট ডেস্ক: লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি নিত্যযাত্রীদের দৈনন্দিন জীবনে এখন কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) গুরুত্ব অপরিসীম। সময়ের সাথে সাথে ইদানিং আমূল পরিবর্তনে এসেছেন তিলোত্তমার এই পাতাল রেল পরিবহন ব্যবস্থায়। তাই ইদানিং শহরের প্রায় প্রতিটি ব্যস্ত এলাকাই জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে মেট্রো (Kolkata Metro) রেলের সাথে।
পুজোর আগে ইয়েলো লাইন নিয়ে কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) বড় আপডেট
এরই মধ্যে পুজোর আগেই ইয়োলো লাইনের (Yellow Line) মেট্রো প্রকল্পের নির্মাণ নিয়ে সামনে এলো এক বড় আপডেট। জানা যাচ্ছে নোয়াপাড়ার পর দমদম ক্যান্টনমেন্ট,যশোর রোড এবং বিমানবন্দর (Airport) পর্যন্ত অংশের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই। তারপর এবার কলকাতা মেট্রোর লাইন ফোর অর্থাৎ নির্মাণেও এসেছে নতুন গতি।
জানা যাচ্ছে, বিমানবন্দর থেকে পর্বসরটি স্টেশন বিরাটির (Birati) মধ্যে ৬.৮ কিলোমিটারের দূরত্বের পাশাপাশি পরবর্তী ইয়েলো লাইনের কাজ এগিয়েছে ভূগর্ভস্থ পথে। জানা যাচ্ছে, বিমানবন্দর থেকে বিরাটি পর্যন্ত মেট্রো রেল নির্মাণের জন্য ১৮ মিটার দৈর্ঘের ক্রেন আনার প্রয়োজন। কিন্তু কাছেই বিমানবন্দর থাকায় নিরাপত্তার কারণে প্রথমে ওই এলাকায় এত বড় মাপের ক্রেন ব্যবহার করার অনুমতি দেয়নি এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই)।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ফেল! এবার হাতে আসবে ৫ হাজার! আধার-প্যান কার্ডেই বাজিমাত! কারা পাবেন সুবিধা?
পরে যদিও নিজেদের অবস্থান পাল্টে ফেলে এএআই। জানা যাচ্ছে, বিমানবন্দর থেকে বারাসত পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ভূগর্ভস্থ মেট্রো তৈরির জন্য প্রাথমিক ভাবে ১৩,৩২০ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছিল। যদিও ২০২৪-এর বাজেটে এই প্রকল্প শুরুর জন্য মাত্র ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
তবে সব ঠিক থাকলে ২০২৭-এর শুরুর দিকেই বিমানবন্দর থেকে বারাসত পর্যন্ত অংশের মেট্রোরেলের কাজ সম্পন্ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মেট্রোর লাইন নির্মাণের জন্য যাতে ভবিষ্যতে বিমানবন্দরের মতো সংবেদনশীল এলাকায় কোনও সমস্যা দেখা না দেয়, তার জন্য বিশেষ ধরনের সিমেন্ট দিয়ে এই এলাকার কাজ করা হবে। কলকাতা মেট্রোরেল-সূত্রে খবর, এই কারণেই বিমানবন্দরের বাউন্ডারি ওয়ালের মধ্যে ইয়েলো লাইনের কাজ হবে রিইনফোর্সড সিমেন্ট কংক্রিট (আরসিসি) দিয়ে।