বাংলাহান্ট ডেস্ক : শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার জন্য সেরা বিকল্প মেট্রো। আরামদায়ক এসি কামরায় সফর করার মজাটাই আলাদা। কিলোমিটার পিছু গড়ে এক টাকারও কম খরচে পৌঁছে যাওয়া যায় গন্তব্যে। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত সম্পূর্ণ নর্থ-সাউথ করিডোরে ৪০ কিলোমিটার রাস্তার ভাড়া পড়ে মাত্র ২৫ টাকা।
কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) থেকে সস্তা গণ-পরিবহণ ভারতে আর নেই। কিন্তু কলকাতা মেট্রোয় এই দিন কি এবার শেষ হতে চলেছে? দিল্লি মেট্রোর মতো কলকাতা মেট্রোতেও কি উঠলেই দশ টাকার টিকিট বাধ্যতামূলক হবে? এই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এমন জল্পনা আবার উড়িয়ে দেওয়াও যাচ্ছে না।
আরোও পড়ুন : ক্রেডিট কার্ডের নিয়মে পরিবর্তন আনছে SBI থেকে শুরু করে ICICI ব্যাঙ্ক! জানুন নিউ রুলস্
এই ধরনের জল্পনা-কল্পনার পিছনে রয়েছে দিল্লির মেট্রো পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত দিল্লি মেট্রোরেল কর্পোরেশনের (ডিএমআরসি) অপারেশনস আন্ড সার্ভিসেসের ডিরেক্টর অমিয়কুমায় জৈনের একটি চিঠি। কলকাতা মোট্রার জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডিকে পাঠানো চিঠিতে দিল্লি মেট্রো কর্তারা কলকাতা মেট্রোর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
আরোও পড়ুন : চাইলেই আর যাওয়া যাবে না সান্দাকফু! গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা পর্যটকদের জন্য
এই চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন সেক্টরে স্থায়ী কর্মীর বদলে কাজ করানো হচ্ছে অস্থায়ী কর্মী ও আউটসোর্সের মাধ্যমে। ডিএমআরসি এইভাবে কাজ করে সফলতা পেয়েছে। পরিচালন- দক্ষতা, যাত্রী-নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং রক্ষণাবেক্ষণে ডিএমমারসি-এর দক্ষতা চোখে পড়ার মতো। তাই তারা কলকাতা মেট্রোর দায়িত্বও নিতে আগ্রহী।
কলকাতা মেট্রো অপারেটিং রেশিয়ো এমনিতেই খুব বেশি। খরচ সামলাতে কলকাতা মেট্রোকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই চিঠিতে ডিএমআরসি লিখেছে, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট দেওয়ার পাশাপাশি কলকাতা মেট্রোকে অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়কারী সংস্থা হিসেবেও গড়ে তুলবে ডিএমআরসি। কলকাতা মেট্রোর শ্রমিকদের সাংগঠন মেট্রোরেল মেন্স ইউনিয়নের (এমআায়এমইটি) সাধারণ সম্পাদক সুজিতকুমার ঘোষ এবং সংগঠনের বর্ষীয়ান নেতা শিশির মজুমদার মুখ খুলেছেন।
তিনি বলেন, ‘পার্মানেন্ট নেগোশিয়েশন মেশিনারি ওরজে পিএনএম- এ জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছিলেন, রেলবোর্ড চাইছে কলকাতা মেট্রোকে কর্পোরেশনে পরিণত করতে। কিন্তু সেই পরিকল্পনা যে এতটা এগিয়েছে খবর ছিল না।’ তবে কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ অধিকারিক কৌশিক মিত্র বলছেন, ‘পরিকাঠামোগত উন্নয়নে রেলবোর্ড নানা পরিকল্পনাই করে। তার সবকটা বাস্তবায়িত হয় না। এই বিষয়টা নিয়েও আলোচনা হয়েছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’