আয় বাড়াতে ‘নাম বিক্রি’! মাত্র ৯ মাসে ৪৯% অতিরিক্ত মুনাফা কলকাতা মেট্রোর

বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেশজুড়ে সমস্ত মেট্রো স্টেশনের মধ্যে কলকাতাতেই মেট্রোভাড়া সবচেয়ে কম। যে কারণে কলকাতা মেট্রোর(Kolkata Metro) রোজগারও খানিকটা কম। আর এমন পরিস্থিতিতে আয়ের বিকল্প খুঁজছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। এই যেমন গত বছর এপ্রিল থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে একাধিক স্টেশনের নাম ভাড়া দিয়ে ৩৭.৫৫ কোটি টাকা আয় করেছে কলকাতা মেট্রো।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতিতে মন্দার ধাক্কা সামলে বিজ্ঞাপনী খাতে আয় বাড়ানোর নতুন পথ দেখছে কলকাতা মেট্রো। দক্ষিণেশ্বর-নিউ গড়িয়া রুটে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থার নাম জুড়েছিল। প্রস্তাবিত মেট্রো স্টেশনের নামের আগে বা পরে নির্দিষ্ট সংস্থা বা পণ্যের নাম বসানো হবে বলে ঠিক করা হয়েছিল। এবং এই পরিকল্পনায় ভালো সাড়াও মিলেছে বলে জানিয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।

মেট্রো সূত্রে খবর, এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে যাত্রী ভাড়া বাদ দিয়ে মেট্রোর বাড়তি আয় ছিল প্রায় ২৫.২৬ কোটি টাকা। যেখানে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে মেট্রোর আয় প্রায় ১২ কোটি টাকারও বেশি। অর্থাৎ একলাফে প্রায় ৪৮.৬ শতাংশ আয় বেড়েছে।

আরও পড়ুন : TRP তালিকায় জায়গা হচ্ছেনা, রাতারাতি বদলে ফেলা হল স্টার জলসার এই নায়িকাকে, মাথায় হাত দর্শকদের

এছাড়াও বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে খাবারের দোকান বা স্টল ভাড়া দিতে চাইছে মেট্রো। এখান থেকেও মোটা টাকা উপার্জন করা সম্ভব বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞরা। এদিকে চলতি বছরের বাজেট অধিবেশনে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৯০৬ কোটি টাকা। যা গত বছরের তুলনায় ৩০৩ কোটি টাকা বেশি। পাশাপাশি বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে বিমানবন্দর-নিউ গড়িয়া মেট্রোর জন্যেও।

আরও পড়ুন : ‘কাশী-মথুরা পেলে আর কোনওদিকে তাকাব না’, বড় মন্তব্য রাম মন্দির আধিকারিকের

kolkata metro history

সূত্রের খবর, বিমানবন্দর-নিউ গড়িয়া মেট্রোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ১৭৯১.৩৯ কোটি টাকা। ওদিকে জোকা-বিবাদী বাগ রুটের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১২০৮.৬১ কোটি টাকা। যেখানে গত বছর এই বরাদ্দ ছিল ৮০০ কোটি। তবে বাজেট কমেছে নোয়াপাড়া বারাসত রুটের। গত বছর এই রুটের বরাদ্দ ছিল ৩০৮ কোটি টাকা যেখানে চলতি বছর এই রুটের বরাদ্দ ২০০ কোটি টাকা। অন্যদিকে চলতি বাজেটে বরানগর-ব্যারাকপুরের জন্য বরাদ্দ ৫০ কোটি।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর