বাংলাহান্ট ডেস্ক : শেষ মেট্রোর (Kolkata Metro) সময়সূচী পরিবর্তন করে দেওয়া হলো মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। দুই প্রান্তিক স্টেশন থেকে শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে। আগে রাত ১১টার সময় মেট্রো ছাড়তো। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী সোমবার থেকে রাত্রিবেলার শেষ মেট্রো ছুটবে বলে খবর। যাত্রীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে ব্লু লাইনে বিশেষ রাত্রিকালীন মেট্রো পরিষেবা দিচ্ছে কলকাতা মেট্রো।
সোমবার থেকে শুক্রবার কবি সুভাষ এবং দমদম স্টেশন থেকে রাত ১১টার সময় শেষ মেট্রো পাওয়া যেত এতদিন। ২৫ মে থেকে চলা বিশেষ মেট্রো বেশিরভাগ দিন ফাঁকা থাকে। একমাত্র রাত করে বাড়ি ফেরা কিছু অফিস কর্মী ছাড়া আর কেউ থাকেন না মেট্রোতে। স্টেশনে প্রবেশের অধিকাংশ গেটও বন্ধ থাকার কারণে, অনেকে আবার প্রবেশদ্বার খুঁজে না পেয়ে ফিরে যান।
আরোও পড়ুন : দুর্দান্ত খবর! এবার হাতে আসবে দ্বিগুণ DA! কপাল খুলবে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের, হয়ে গেল ঘোষণা
বিগত ২০ দিন ধরে দিনে গড়ে ৬০০ জন করে যাত্রী উঠছেন আপ ডাউন মিলিয়ে দুটি মেট্রো রেলে। যাত্রীদের কাটা টিকিট থেকে মাত্র ৬ হাজার টাকার রোজগার হচ্ছে মেট্রোর। তাই মেট্রো পরিষেবা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ নিজেই। এবার প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে মেট্রো কর্তৃপক্ষ (Metro Railway) জানিয়েছে, প্রত্যেক ট্রিপ মেট্রো চালাতে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়।
আরোও পড়ুন : বন্ধ হয়ে যাবে সিম, KYC নিয়ে আসছে ফোন! আপনার কাছে এলে কী করবেন?
অর্থাৎ দুটি মেট্রো চালাতে তার ডবল ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা খরচ। অন্যান্য খরচ হিসেবে যদি আরো ৫০ হাজার টাকা ধরা হয়, তাহলে ওই মেট্রো চালাতে গিয়ে প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। অথচ ওই দুই ট্রিপ মেট্রো থেকে আয় হচ্ছে মাত্র ৬ হাজার টাকা। ওই মেট্রো চালানো নিয়ে চিন্তার ভাঁজ কর্তৃপক্ষের কপালে। তাই আপাতত মেট্রোর সময় এগিয়ে নিয়ে লোকসান মেটানোর চেষ্টা করেছে কর্তৃপক্ষ।
এবার রাত ১১টার পরিবর্তে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে কবি সুভাষ এবং দমদম থেকে শেষ মেট্রো ছাড়বে। তবে সেই সময় কোন স্টেশনে টোকেন কিংবা স্মার্ট কার্ড বিক্রির জন্য কাউন্টার খোলা থাকবে না বলে জানানো হয়েছে। ব্যবহার করা যাবে স্মার্ট কার্ড। এছাড়া ইউপিআই এর মাধ্যমে সমস্ত স্টেশনে বসানো ASCRM মেশিন থেকে টোকেন কিনতে পারবেন যাত্রীরা।