বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশের জনপ্রিয় মেট্রো শহর গুলির মধ্যে অন্যতম হল কলকাতা। আর কলকাতাবাসীর যাতায়াতের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় একটি লাইফ লাইন হল কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। এই মুহূর্তে কলকাতা জুড়ে বিভিন্ন রুটের মেট্রো কানেকশন আরো বেশি জোরদার করে চলছে কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) রেল কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro):
কলকাতা বাসীর সুবিধার কথা মাথায় রেখেই মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মেট্রো রেল পরিষেবা চালু করতে নিত্য নতুন রূট তৈরি করে চলেছে। এসবের মধ্যেই বিগত কয়েক বছর ধরে কর্মচারীর অভাবে এবার কলকাতার শহরের মেট্রোস্টেশন গুলি সরাসরি কর্মী ছাঁটাইয়ের পথ অনুসরণ করে চলেছে। জানা যাচ্ছে, পয়লা আগস্ট থেকেই কলকাতা মেট্রো রেল তিন-তিনটি রেল স্টেশনের টিকিট সম্পূর্ণ বাতিল করছে।
যার মধ্যে শহরের দুটি মেট্রো রেল রেললাইন নাকি সম্পূর্ণ সরিয়ে ফেলারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেট্রো রেল সূত্রের খবর আগামী বৃহস্পতিবার থেকেই জোকা-মাঝেরহাট রুটের সাখেরবাজার এবং তারাতলা যা পার্পল লাইনের মধ্যে পড়ে, এবং কবি সুভাষ-হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি) করিডোরের কবি সুকান্ত স্টেশন, যা অরেঞ্জ লাইনে রয়েছে, এই সমস্ত স্টেশনগুলির টিকিট কাউন্টার নাকি স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
মাজেরহাট রুটের শখের বাজার এবং তারাতলা যা পার্পেল লাইনে এবং কবি সুভাষ হেমন্ত মুখোপাধ্যায় কলিরের কবি সুকান্ত স্টেশন যে অরেঞ্জ লাইনের রয়েছে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এই স্টেশন গুলির টিকিট কাউন্টার স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: এই নথি না থাকলে মিলবে না লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! স্পষ্ট জানাল রাজ্য সরকার, জানুন নয়া আপডেট!
বুকিং কাউন্টার ছাড়া এই স্টেশন গুলি কেমন দেখতে হবে?
জানা যাচ্ছে নতুন নিয়ম চালু হওয়ার পর, এই স্টেশনগুলিতে টোকেন বিক্রি, নতুন স্মার্ট কার্ড, স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করার জন্য কোনও বুকিং কাউন্টার খোলা হবে না। কিন্তু প্রশ্ন হল তাহলে যাত্রীরা টিকিট কিনবেন কীভাবে? জানা যাচ্ছে তার জন্য কলকাতা মেট্রো স্বয়ংক্রিয় স্মার্ট কার্ড রিচার্জ মেশিন (ASCRM) ইনস্টল করছে। এই মেশিনগুলির সাহায্যেই যাত্রীরা টোকেন, স্মার্ট কার্ড, কাগজের QR কোড ভিত্তিক টিকিট কিনতে পারবেন। এমনকি প্রয়োজনে যাত্রীরা UPI-এর মাধ্যমেও টিকিট বুক করতে পারবেন। এখনও পর্যন্ত এই তিনটি স্টেশনেই মেশিন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে বলা জানা যাচ্ছে।
এই তিন স্টেশনের বুকিং কাউন্টার বন্ধ কেন?
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিদিন তারাতলা স্টেশনে মাত্র ৭০ জন যাত্রী আসেন। অন্যদিকে জোকা-মাঝেরহাট রুটে প্রতিদিন মাত্র ২২০ জন যাত্রী ওঠানামা করেন। এছাড়া সাখেরবাজারে যাতায়াত করেন মাত্র ৫৫ জন। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করার কথা জানিয়ে মেট্রো রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন আগামী ৬ মাস নজরদারি চালানোর পর এবং যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করার পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।