বাংলাহান্ট ডেস্ক : ধীরে ধীরে সেজে উঠছে দেশের সবচেয়ে গভীরে তৈরি হওয়া মেট্রো স্টেশন। বলা বাহুল্য এই গভীরতম মেট্রো স্টেশন অর্থাৎ হাওড়া স্টেশনের আনাচে কানাচেতে চলছে ফিনিশিং টাচ। সূত্রের খবর, আর কিছুদিনের মধ্যে সেই কাজও শেষ হয়ে যাবে। অচিরেই এই রেল পথে জুড়ে যাবে দুই ব্যস্ত রেল টার্মিনাল হাওড়া (Howrah) ও ধর্মতলা।
ইতিমধ্যেই, হাওড়া স্টেশনকে ঘিরে একের পর এক রেকর্ড তৈরী হতে চলেছে। তবে একটা কথা বলে রাখা দরকার, হাওড়া মেট্রো স্টেশন থেকে যাতায়াত করতে হলে চলমান সিঁড়ির ভয় কাটাতে হবে। তবে, সবথেকে বেশি চমক রয়েছে হাওড়া স্টেশনের পাঞ্চিং গেটে। এক বা দুটি নয়, মোট ৩২টি গেট বসানো হবে। সেই গেটগুলির মধ্যে ২০টি গেট দ্বিমুখী হবে।
আরোও পড়ুন : ‘শোভনের ৭০ পেরিয়ে গেলেও আমরা…’, সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা বৈশাখী
সূত্রের খবর, হুইল চেয়ার নিয়ে যাতায়াত করার জন্য ২টি দুটি গেট থাকবে। বাকি ১২টির মধ্যে ছয়টি গেট শুধুমাত্র যাত্রীদের প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য থাকবে। যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে এবং স্বয়ংক্রিয় ভাবে ভাড়া কাটতে এএফসি-পিসি গেটও বসানো হবে এই স্টেশনে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরে থাকা সবকটি স্টেশনের মধ্যে সর্বোচ্চ গেট থাকবে এই হাওড়া স্টেশনেই।
আরোও পড়ুন : এখনই হন সতর্ক! ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই কাজ না করলে ফ্রিজ হয়ে যাবে অ্যাকাউন্ট, জারি নির্দেশিকা
মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, দ্বিমুখী যে ২০টি গেট থাকবে, যাত্রীদের চাপ বুঝে সেগুলি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। স্টেশনে ঢোকার সময় বেশি ভিড় হয়ে গেলে সেই গেটগুলিকে প্ল্যাটফর্মের প্রবেশ পথ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। আবার যদি কখনও স্টেশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য বেশি ভিড় হয়, তখন সেই গেটগুলিকে বেরোনোর জন্য ব্যবহার করতে পারবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় প্রত্যেক মিনিটেই ৪৫ জন করে যাত্রী একটি গেট দিয়ে ঢুকতে বা বেরোতে পারবেন। এদিকে স্মার্টকার্ড বা টোকেনের সাথে সাথে কিউ-আর কোড স্ক্যান করেও ঢোকা বা বেরোনোর সুযোগ থাকবে হাওড়া মেট্রো স্টেশনে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই স্টেশনে রয়েছে লিফটের সুবিধা। রয়েছে ৩টি প্রবেশ পথ ও ১২টি লিফট।