বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেআইনি নির্মাণ নিয়ে একাধিকবার মুখ পুড়েছে কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation)। গত বছর গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতলের একটি অংশ ভেঙে পড়েছিল। যার জেরে প্রাণ যায় ১৩ জনের। খোদ কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) এলাকায় এই ঘটনা ঘটায় জোর শোরগোল পড়ে যায়। তার রেশ পুরোপুরি কাটার আগেই কয়েকদিন আগে বাঘাযতীন কাণ্ড এবং ট্যাংরায় বহুতল হেলে পড়ে। এই আবহে এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিল কেএমসি (KMC)।
বেআইনি নির্মাণ রুখতে বিরাট পদক্ষেপ কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation)!
জানা যাচ্ছে, অবৈধ নির্মাণ সংক্রান্ত শুনানি নিয়ে এবার নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনন্তকাল ধরে এই ধরণের শুনানি চলতে পারে না। এর ফলে আইনি দীর্ঘসূত্রিতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে শহরে মাথাচাড়া দিতে পারে বেআইনি নির্মাণ। সেদিকে নজর রেখে কলকাতা পুরসভার মেয়র পুর কমিশনার ধবল জৈনকে বেআইনি নির্মাণের শুনানি সম্বন্ধিত নতুন এসওপি তথা নির্দেশিকা বানানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সেই নির্দেশ অনুসারে, কোনও অবৈধ নির্মাণের শুনানিতে অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত, দুই পক্ষ যদি পরপর তিনটি শুনানিতে অংশ না নেয়, তাহলে সেই শুনানি বন্ধ করতে হবে এবং রায় দিয়ে দিতে হবে। কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) সূত্রে খবর, বেহালার ১৪ নং বোরো থেকে মেয়র ফিরহাদের দফতরে নির্মাণ বিষয়ক অভিযোগ জমা পড়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, অবৈধ নির্মাণের জন্য পুরসভার তরফ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর শুনানির জন্য ডাকা হলেও অভিযুক্তরা তিন বার শুনানিতে অংশ নেয়নি। এর ফলে একদিকে যেমন শুনানি পিছোচ্ছে, তেমনই সেই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে বেআইনি নির্মাণ করে যাচ্ছেন অভিযুক্ত।
আরও পড়ুনঃ পরিণীতার ধাক্কায় বেসামাল গীতা-ফুলকি! বেঙ্গল টপার হল কে? রইল মাথাঘোরানো TRP তালিকা
জানা যাচ্ছে, এই ধরণের অভিযোগ আসার পর নড়েচড়ে বসে কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ। তার মাঝেই অবৈধ নির্মাণ (Illegal Construction) সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং কলকাতার বুকে পরপর দু’টি বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনা ঘটে। এই আবহে পুর কমিশনারকে বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত শুনানির বিষয়ে বড় নির্দেশ দিয়ে দেন মেয়র।
কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) একজন আধিকারিক অবশ্য জানাচ্ছেন, কলকাতায় জোড়া বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনার আগেই বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত শুনানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তাই দু’টি বিষয়কে এক করে দেখা উচিত নয়। এই প্রসঙ্গে বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকরা বলেন, সেক্ষেত্রে কেউ চাইলে শুনানির রায় চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। তবে তাতে অন্তত কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত শুনানি ঝুলিয়ে রাখার কোনও অভিযোগ উঠবে না।