বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর থেকে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে ‘অ্যাকশনে’ কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। ওই ঘটনায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল কেএমসিকে। এরপর থেকে অবৈধ নির্মাণের কোনও অভিযোগ এলেই তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে শোনা যাচ্ছে, এই কাজ করতে গিয়েই এবার চাপে পড়েছে তারা!
বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে চাপে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)?
জানা যাচ্ছে, শহরের বুকে যে অবৈধ নির্মাণ গজিয়ে উঠেছে তা ভাঙার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৪টি এজেন্সিকে। পুরসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে এখনও অবধি কলকাতা পুর অঞ্চলে ৪৯৫টি অবৈধ বাড়ি ভাঙা হয়েছে। এদিকে বাড়ি ভাঙার সংখ্যা অনুসারে এজেন্সিগুলিতে বিল দিতে হচ্ছে পুরসভাকে। এখনও অবধি কেএমসির ৫ কোটি টাকা বিল হয়েছে বলে খবর। আর তা মেটাতেই পুরসভা হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রত্যেক মাসে সংস্থাগুলি পুরসভায় আসছে। সেই সঙ্গেই বকেয়া না পেয়ে অনেকে আবার কাজ বন্ধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
কেএমসির আইন বলছে, অবৈধ নির্মাণ (Illegal Construction) ভাঙার খরচ বাড়ির মালিককে দিতে হয়। বেআইনি বাড়ি ভাঙার পর বিল দেওয়ার জন্য মালিককে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়। সেই সময়কালের মধ্যে যদি বিল না মেটানো হয়, তাহলে সেই টাকা সম্পত্তি করের সঙ্গে যোগ করে দেওয়া হয়। এর ফলে জমির মালিকরা সমস্যার সম্মুখীন হলেও প্রোমোটারদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। ফলের একের পর এক অবৈধ নির্মাণ বানিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ ‘আমরা যত দ্রুত নিয়োগ করতে পারব…’! নিয়োগ নিয়ে কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী? এক কথায় শোরগোল!
কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) আশা করেছিল, অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দিলে প্ল্যান অনুযায়ী বাড়ি ভাঙার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে আয় বাড়বে কেএমসির। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। এখন বেআইনি বাড়ি ভাঙলেও সেখান থেকে আয়ের কোনও সুযোগ থাকছে না। ফলে এজেন্সিগুলির বিল মেটাতেও সমস্যা হচ্ছে।
অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে খানিক সমস্যার সম্মুখীন হলেও থামতে নারাজ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, বেআইনি নির্মাণ কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। অবিলম্বে তা ভেঙে দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।