বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) নানান জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। যার জেরে দাবদাহ গরম থেকে রেহাই পেয়েছে মানুষ। আবহাওয়া দফতরের আবার অনুমান, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যে বর্ষা (Monsoon) ঢুকে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতাবাসীর চিন্তা বাড়াচ্ছে জমা জলের সমস্যা। প্রত্যেক বছর বৃষ্টিতেই মহানগরীর নানান অংশে জল জমে যায়। সমস্যায় পড়ে সাধারণ মানুষ। তবে এবার এই দুর্ভোগ সইতে হবে না বলে মনে করছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। কারণ কেএমসির তরফ থেকে আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল বলে খবর।
জমা জলের সমস্যা দূর করতে আগেভাগেই উদ্যোগী পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)!
বর্ষাকাল এলেই কলকাতার নানান জায়গায় জল জমে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়। উত্তর কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতার সংযুক্ত অঞ্চলে জমা জলের কারণে সমস্যায় পড়ে সাধারণ মানুষ। সেই সঙ্গেই সমালোচিত হয় পুরসভা। এই বছর যাতে এমনটা না হয় তাই কয়েক মাস আগে থেকেই কেএমসি তোরজোড় শুরু করে দিয়েছিল। পুরসভার নিকাশি বিভাগ এমনটাই দাবি করেছে।
কলকাতা পুরসভার (KMC) দাবি, তাদের তোরজোড়ের কারণে এবার তুমুল বৃষ্টি হলেও শহর কলকাতায় জল জমে থাকবে না। কারণ এই বছর গত বছরের চেয়ে অনেক আগেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল। জানা যাচ্ছে, এই নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেও বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সশরীরে হাজিরা দিতে হবে! সরকারি কর্মীকেই বড় নির্দেশ হাইকোর্টের, কোন মামলায়?
প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে ফিরহাদ (Firhad Hakim) জানিয়েছেন, এবার যদি একটানা প্রবল বৃষ্টিপাতও হয়, তাহলেও চিন্তার কিছু নেই। কারণ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জমা জল নেমে যাবে।
জানা যাচ্ছে, জুন মাসের শুরুতেই রাজ্যে বর্ষা ঢোকার অনুমান করছে আবহাওয়া দফতর। এই পূর্বাভাস পাওয়ার পরেই সেচ দফতরের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে দেয় কেএমসি। তাতে ঠিক হয়, শহর কলকাতার খালগুলি সংস্কার করা হবে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে যৌথভাবে সেই কাজ হয়েছে। সেই সঙ্গেই শহর কলকাতার নিকাশি নালাগুলি ‘ডিস্টিলিং’ করে সেখানে জমে থাকা নোংরা আবর্জনা বের করা হয়েছে।
প্রত্যেক বছর বর্ষা আসলেই কলকাতার নানান প্রান্তে জল জমে যাওয়ার ছবি দেখা যায়। এবারও যাতে একই জিনিস না ঘটে সেই নিয়ে তৎপর কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। আগেভাগেই বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বর্ষাকালে জল জমার সমস্যা হবে না বলে মনে করছে কেএমসি।