বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কাজের ফাঁকি দেওয়ার দিন শেষ! ১০০ দিনের কাজের কর্মীদের জন্য এবার বাধ্যতামূলক করা হল একটি নিয়ম। শনিবার একটি প্রশ্নের উত্তরে একথা জানিয়েছেন কেএমসির (Kolkata Municipal Corporation) মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি স্পষ্ট জানান, এবার থেকে সবাইকে নিয়ম মেনে কাজে আসতে হবে। ডিজিটাল নজরদারি থাকবে।
শনিতেই বিরাট ঘোষণা মেয়র (Kolkata Municipal Corporation) ববির
শুক্রবার কেএমসির অধিকবেশনে ৪৮ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার বিষয়ে কাউন্সিলর ও বরো চেয়ারম্যানদের ভূমিকা হ্রাস পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। তখনই ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক হাজিরার একটি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ফিরহাদ (Firhad Hakim)। শনিবার স্পষ্ট একথা জানিয়ে দেন তিনি।
- কী বললেন ফিরহাদ?
কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) মেয়রের কথায়, ‘অধিবেশনে আমরা এই প্রস্তাব পাশ করেছি। সকল তথ্য থাকবে। সবাইকে নিয়মমাফিক কাজে আসতে হবে। ডিজিটাল নজরদারি থাকবে’। কেএমসির কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে কর্মীদের হাজিরা বাধ্যতামূলক আগেই করা হয়েছিল। এবার সব বিভাগেই এই নিয়ম চালুর কথা জানিয়েছেন ববি।
আরও পড়ুনঃ ভাড়া করা হয় সুপারি কিলার! নিউ টাউনে ব্যবসায়ী খুন কাণ্ডে নয়া মোড়, গ্রেফতার বিজনেস পার্টনার
জানা যাচ্ছে, বর্তমানে কলকাতা পুরসভায় (KMC) ১০০ দিনের কাজের কর্মীর সংখ্যা প্রায় ১৫,০০০ (১৬টি বর মিলিয়ে)। এর মধ্যে একটি বৃহৎ অংশ শহরে জঞ্জাল সাফাই বিভাগে কর্মরত। বাকিরা রয়েছেন নিকাশি, রাস্তা তৈরি, উদ্যান, ইঞ্জিনিয়ারিং, পিএমইউ বিভাগে। এই বিষয়ে কেএমসির এক আধিকারিক বলেন, অধিকাংশ কর্মীই শাসকদলের সুবাদে এই কাজে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই হাজিরার খাতায় সই করে দলের প্রভাব দেখিয়ে বেরিয়ে যান। এবার এসব জিনিস রুখতে তৎপর খোদ মেয়র।
ইতিমধ্যেই পুর আধিকারিকদের কাছে ১০০ দিনের কাজের (100 Days Work) কর্মীদের নিয়ে বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। কখনও কাজে যোগ না দেওয়ার, কখনও আবার অল্প সময় কাজ করে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে তাঁদের মাইনে বরো চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলরা লিস্ট করে সই করে পাঠিয়ে দেন। মাস শেষ হতেই তাঁদের বেতন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যায়।
বর্তমানে কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) ১০০ দিনের কাজের কর্মীদের দৈনিক মজুরি যথাক্রমে ২০২ টাকা (অদক্ষ)এবং ৩০৩ টাকা (দক্ষ)। নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে ৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। তবে বহু সময় তাঁদের কাজে ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এবার এসব জিনিস বন্ধ করতে বায়োমেট্রিক হাজিরা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে এসব অভিযোগের নিরসন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।