বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগেই কলকাতা পুরসভা পরিচালিত বিভিন্ন স্কুলে শৌচাগার সংস্কারের (Toilets Corruption) নামে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছিল। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত তিন আধিকারিককে শো-কজও করা হয়েছে। এবার তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)।
শুরু হল চার্জশিট গঠন
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওই তিন অভিযুক্তর বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। দায়িত্বে রয়েছে পার্সোনেল এবং আইন বিভাগক। চার্জ গঠনের পর তার প্রতিলিপি অভিযুক্ত তিন আধিকারিককে পাঠানো হবে। এর পর নিয়ম মাফিক শুনানি শুরু হবে পুরসভার পার্সোনেল বিভাগে। বিচারকের ভূমিকায় থাকবেন পুরসভা দ্বারা নিযুক্ত এক আধিকারিক।
এই বিষয়ে পুরসভার এক শীর্ষ কর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘শৌচাগার সংস্কারের দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসার পর ওই তিন আধিকারিককে আগেই শো-কজ় করা হয়েছিল। তবে তাদের উত্তরে আমরা সন্তুষ্ট নই। ওই তিন জন নিয়ম-বহির্ভূত কাজ করায় এবার চার্জ গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: হাওড়ায় প্লাস্টিকের ব্যবসায়ীর গাড়ি থেকে উদ্ধার টাকার পাহাড়! অঙ্ক শুনলে ভিরমি খাবেন
রেহাই পেল না শৌচাগারও
পুরসভা সূত্রে খবর, ২০১৭-’২০ সালের মধ্যে কলকাতায় ৫০ টি প্রাথমিক স্কুলে ৬৩টি শৌচাগার সংস্কারের জন্য ৬০ হাজার টাকা করে খরচ দেখানো হয়েছিল। কিন্তু পরে তদন্ত করে দেখা যায়, সঠিক ভাবে নিয়ম মেনে সেই কাজ হয়নি। সংস্কারের কাজ চলাকালীন স্কুলে নোটিস টাঙানোর কথা ছিল, সেটাও হয়নি।
এখানেই শেষ নয় জানা যায়, শৌচাগার সংস্কার শুরু হওয়ার আগে স্কুল উন্নয়ন কমিটিকেও জানানো হয়নি। স্কুলে কাজ চলাকালীন বা কাজের পর কোনও ইঞ্জিনিয়ার পরিদর্শনে আসেননি বলেও অভিযোগ ওঠে। এদিকে বেশ কয়েকটি স্কুল শিক্ষকরা অভিযোগ তুলে জানিয়েছেন, ঠিকাদারদের দেওয়া রসিদে স্কুলের নকল প্যাড বানিয়ে হিসাব দেখানো হয়েছিল।
পরে তদন্তে নেমে এরম একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। তাই এবার অভিযুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চাইছে পুরসভা। পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারদের পরিদর্শন ছাড়াই কিভাবে শুধু শিক্ষকদের দিয়ে সই করিয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রশ্নও উঠছে। এবার প্রধান শিক্ষকদের ভূমিকাও খতিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এক পুর কর্তা।