বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নারদা কাণ্ডে এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এর নজরে কলকাতা পুরসভা। নারদা কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুরসভায় চিঠি পাঠানো হল সিবিআই এর তরফ থেকে। সিবিআই এর তরফ থেকে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে কলকাতার পুরসভার ভিআইপি করিডরে কারা দ্বায়িত্ব ছিলেন? সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। এবং কলকাতা পুরসভার চার আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর জন্য সিবিআই দফতরে ডেকেও পাঠানো হয়েছে। সিবিআই এর তলবে আজ সিবিআই এর দরফতে তিনজন হাজিরাও দিয়েছেন বলে জানা যায়।
নারদা কাণ্ডে ম্যাথু স্যামুয়েলের হাত থেকে টাকা নিতে দেখা গেছে কলকাতা পুরসভার তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। কলকাতা পুরসভার অ্যান্টিচেম্বারে তোয়ালেতে জড়িয়ে টাকা নিয়েছিলেন পুরসভার তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। শুধু শোভন চট্টোপাধ্যায়ই না, ম্যাথু স্যামুয়েলের থেকে টাকা নিতে দেখা গেছিল তৃণমূলের অনেক বড়বড় নেতা এবং বর্তমান পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম কেও। আর এই ঘটনার তদন্তে এবার কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি দিয়েছে সিবিআই।
টাকা নেওয়ার এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য রাজনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। রাজ্যের বিরোধী দল গুলো বরাবরই তৃণমূলের উপরে মানুষের টাকা খাওয়ার অভিযোগ তুলে আসছে। শুধু নারদা না, সারদা চিটফান্ড মামলায় রাজ্যের গরিব মানুষের কয়েকশ কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
সারদা মামলায় শাসক দল তৃণমূলের কয়েকজন তাবড় তাবড় নেতা জেলও খেটেছেন। তাতেও কুছ পরোয়া নেহি মনোভাব নিয়ে চলেছে শাসক দল। এমনকি সারদা মামলার তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ঘনিষ্ঠ আইপিএস অফিসার তথা কলকাতার প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমারের নামও উঠে এসেছে। একদিকে সারদা, আরেকদিকে নারদা। আর গোদের উপরে বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে কাটমানি ইস্যু। এই সমস্ত আর্থিক তছরুপ কাণ্ডে জেরবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।