বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার বহু জায়গাতেই জলাজমি বুজিয়ে বহুতল বাড়ি নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। তবে গত বছর গার্ডেনরিচের বহুতল ভেঙে পড়ার পর থেকে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। সেই সময় থেকে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে একাধিক কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে কলকাতা পৌরসভা (Kolkata Municipality)। তাই গার্ডেনরিচের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই বেআইনি নির্মাণ দেখা মাত্রই নোটিশ ধরাচ্ছে পুরসভা। কিন্তু তারপরেও সেই সমস্ত নোটিশের তোয়াক্কা না করে নাকি কোন পদক্ষেপই নেওয়া হচ্ছে না। অভিযোগ সরকারি নোটিশ পাওয়ার পরেও একাধিক জায়গায় দেদার চলছে অবৈধ নির্মাণের কাজ।
বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বিরাট কড়াকড়ি কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipality)
উল্লেখ্য কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের অতি জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান টক টু মেয়র। সম্প্রতি এই অনুষ্ঠানেই তাঁর কাছে এই বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছিল। যা শোনামাত্রই বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এক্ষেত্রে পুরসভার (Kolkata Municipality)কর্মীদেরও একাধিক গাফিলতির অভিযোগ সামনে এসেছে। তাই এবার বেআইনি নির্মাণ নিয়ে শুরু হয়েছে বিরাট কড়াকড়ি। পুরসভার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ না করা হলে কিংবা এক্ষেত্রে কোনও কর্মীর গাফিলতি থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যাচ্ছে, কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipality) কমিশনার একটি নির্দেশ জারি করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ নিয়ে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় কিংবা নির্দেশ না মেনে তারপরেও যদি নির্মাণ কাজ চালু থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরসভা সূত্রে জানা খবর, গার্ডেনরিচে দুর্ঘটনার পর অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য কলকাতা পুরসভা লগবুক ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। অভিযোগ সেক্ষেত্রেও নাকি বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ করা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: নিজেকে সংঘাধিপতি দাবি করে মতুয়া মহাসংঘের মেলার রাশ চান শান্তনু! এবার ধাক্কা খেলেন ডিভিশন বেঞ্চে
বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত অভিযোগ সামনে আসতেই এদিন ফিরহাদ হাকিম পুর কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। জানা যাচ্ছে তারপরেই এদিন এই নির্দেশিকা জারি করেছনপুর কমিশনার । সেখানে বলা হয়েছে টক টু মেয়রে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কোনও অভিযোগ আসলে তা লগবুকে নথিভুক্ত আছে কিনা সেদিকে নজর রাখবেন বিল্ডিং বিভাগের ডিজি। একইসাথে অভিযোগ নথিভুক্ত না থাকলে নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ওই অভিযোগ সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট-ও জমা দিতে বলা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে একাধিক অবৈধ নির্মাণ ল বুকে নথিভুক্ত করা হয়নি কিংবা অভিযোগ মিললেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আবার অনেক ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নোটিশ দিয়ে দায় সারা হয়েছে। যার ফলে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে দেদার চলছে বেআইনি নির্মাণের কাজ। এদিন এই সমস্ত অভিযোগ সামনে আসতেই মেজাজ হারালেন ফিরহাদ।