বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর (RG Kar) হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে গোটা বাংলা। এই আবহে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের (নবান্ন Abhijan) ডাক দিয়েছে ছাত্র সমাজ। আগেই নবান্ন অভিযানের কর্মসূচি বাতিলের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। তবে রাজ্যের আবেদন খারিজ হয়েছে। যা নিয়ে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে শাসকের। তবে ছাত্র সমাজের কর্মসূচীর কারণে যাতে শহরে কোনোভাবে অচলাবস্থার সৃষ্টি না হয় তা দেখতে এবার কোমর বেঁধে নামল কলকাতা (Kolkata) ট্র্যাফিক পুলিশ। জারি হয়েছে একাধিক বাধানিষেধ।
রবিবার কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার শহরের একাধিক রাস্তায় ভোর ৪ টে থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তবে যে সব পণ্যবাহী গাড়ি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার, অক্সিজেন, দুধ, ওষুধ, আনাজপাতি, ফলের মতো বিভিন্ন জরুরি এবং পচনশীল সামগ্রী বহন করে তাদের ক্ষেত্রে এই বাধানিষেধ নেই।
দেখুন আগামীকাল কোন কোন রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে
দক্ষিণ কলকাতার ১) বিদ্যাসাগর সেতু এবং র্যাম্প। ২) খিদিরপুর রোড, ৩) তারাতলা রোড, ৪) ডায়মন্ড হারবার রোড, ৫) সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড, ৬) গার্ডেনরিচ রোড, ৭) হাইড রোড, ৮) কোল বার্থ রোড, ৯) রিমাউন্ট রোড, ১০) কলকাতা ডক এবং কলকাতা বন্দরের সংযোগকারী ফিডার রোড।
মধ্য কলকাতার ১) জওহরলাল নেহরু রোড, ২) রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ,৩) রেড রোড, ৪) নিউ রোড, ৫) ডাফরিন রোড, ৬) মেয়ো রোড, ৭) আউটরাম রোড, ৮) খিদিরপুর রোড, ৯) হসপিটাল রোড, ১০) লাভার্স লেন, ১১) কুইন্সওয়ে, ১২) ক্যাসুরিনা অ্যাভিনিউ, ১৩) ক্যাথিড্রাল রোড, ১৪) এজেসি বসু রোড, ১৫) এসএন ব্যানার্জি রোড, ১৬) ওল্ড কোর্ট হাউস স্ট্রিট, ১৭) কাউন্সিল হাউস স্ট্রিট, ১৮) কিংসওয়ে, ১৯) সেন্ট জর্জেস গেট রোড, ২০) স্ট্র্যান্ড রোড, ২১) কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিট, ২২) কালাকার স্ট্রিট, ২৩) ব্রেবোর্ন রোড, ২৪) হাওড়া ব্রিজ।
আগামীকাল এই সমস্ত রাস্তায় ভোর ৪ টে থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ তরফে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনমতো বিভিন্ন রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়ি-সহ অন্যান্য গাড়ি ঘুরিয়েও দেওয়া হতে পারে।
ছাত্র সমাজের ডাকে আসন্ন নবান্ন অভিযান বিরাট আকার নিতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আবহে চাপ বাড়ছে রাজ্যের। তাই বাড়তি সতর্কতায় রাজ্য। প্রচুর পরিমাণে পুলিশের পাশাপাশি আইজি, ডিআইজির মতো পুলিশের শীর্ষ পদাধিকারীরাও গোটা ঘটনার নজরদারিতে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
আবার ওই একই দিনে পড়েছে ইউজিসির নেট পরীক্ষা। তাই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে যাতে কোনোরকম অসুবিধা না হয় সেই কারণে ওই দিন রাস্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। কোনও রকম অসুবিধায় পড়লে পুলিশের সাহায্য নেওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: টানা দশ! আর জি কর কাণ্ডে সোমে ফের CBI দফতরে হাজির সন্দীপ, হাজিরা দিলেন এই ব্যক্তিও…
পাশাপাশি নিত্যযাত্রীদের যারে পরিবহনে কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য অতিরিক্ত শিফটে সরকারি বাস, ফেরি সার্ভিস, ট্রাম পরিষেবা দেওয়া হবে। সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ ক্যাবও যাতে যাত্রী সুবিধার্থে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে সেই দিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।