বাইরে খেয়েই পকেট গড়ের মাঠ! কলকাতাবাসীর রেস্তোরাঁয় খাবার বিল কত জানেন?

বাংলা হান্ট ডেস্ক : যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ইদানিং মানুষের জীবনযাত্রা থেকে খাদ্যাভ্যাস সবকিছুতেই এসেছে বিরাট পরিবর্তন। বিশেষ করে করোনা মহামারীর পর থেকে সাধারণ মানুষ এমন অনেক কিছুতেই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন যার কথা আগে হয়তো অনেকে কল্পনাও করতে পারতেন না। বিশেষ করে ইদানিং কলকাতার (Kolkata) মানুষের মধ্যে ব্যাপক হারে বাড়ছে অনলাইন খাবার (Online Food) খাওয়ার প্রবণতা।

 কলকাতাবাসীর (Kolkata) রেস্তোরাঁয় খাবার বিল কত?

সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাইরের নামিদামি রেস্তোরাঁয় (Resturant) খাবার খেতে যাওয়ার প্রবণতাও। সম্প্রতি এ প্রসঙ্গেই  চমৎকার সব তথ্য দিয়েছেন হোটেল রেস্তোরাঁগুলোর সর্বভারতীয় সংগঠন ন্যাশনাল রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া। জানলে অবাক হবেন ইদানিং শুধু হোটেলে খাওয়া দাওয়া করার জন্যই কলকাতা (Kolkata) বাসির প্রতি মাসে খরচ হয়, মাথাপিছু হাজার টাকা করে।

আর যার পরিবারে যত জন মানুষ থাকবে তার ক্ষেত্রেই খরচের পরিমাণটা তত বেশি। ইদানীং ইচ্ছা হলেই রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়া ছাড়াও প্রায় সারা বছরই কারও জন্মদিন তো কারো অ্যানিভার্সারি লেগেই থাকে। আর সমীক্ষা থেকে হিসেব বলছে এই ভাবেই ভাবেই কলকাতা (Kolkata) বাসির বাইরে খাওয়া দাওয়ার পিছনে সব মিলিয়ে খরচ হয় ১৫ হাজার কোটি টাকা। এখানেই শেষ নয়, হোটেলে খাওয়া-দাওয়া ছাড়াও এখন কম বেশি সকলেই প্রতি মাসে অন্তত ১০ বার অনলাইনে খাবার অর্ডার দিয়ে খেয়ে থাকেন।

আরও পড়ুন : ‘আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখা হয়েছে’! দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়ে আবার মুখ খুললেন সৌরভ

তার জন্য  প্রত্যেক মাসে খরচ হয়ে সাড়ে ছয় থাকে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। শুধু তাই নয় করোনার সময় থেকে অনলাইনে ব্রেকফাস্ট অর্ডার করার সংখ্যাও  অনেক বেড়েছে। সুইগি,জোমাটোর মতো সংস্থার দাবি তারা এখন কলকাতায় প্রতিদিন গড়ে দেড় লক্ষ্য ব্রেকফাস্ট ডেলিভারি করে। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এখন কলকাতায় অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে রুটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ হাজার।

Food

আটা মাখা, রুটি বেলা এবং রুটি স্যাঁকার ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতেই এখন প্রায় অনেকেই বাড়িতে রুটি তৈরীর পাট চুকিয়ে দিয়েছেন। আর সেই সুযোগেই এখন অনলাইনে রুটি বিক্রির ব্যবসা দারুণ চলছে। তবে শুধু কলকাতায় নয়, এই মুহূর্তে সারা দেশে এই অনলাইনে খাবার ডেলিভার করা রেস্টুরেন্ট সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে যা করনাকালে ক্লাউড কিচেন নামে পরিচিত ছিল বর্তমানে কলকাতায় এমন রেস্টুরেন্ট সংখ্যা কমবেশি ৬০০ আর মোট রেস্টুরেন্ট রয়েছে ৬১ হাজারের বেশি। এর মধ্যে রেজিস্টারড রয়েছে ৩ ৪  হাজার। রিপোর্ট বলছে সারা দেশের রেজিস্টারড রেস্টুরেন্টের  সংখ্যায় কলকাতা রয়েছে ৭ নম্বরে।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর