বাংলাহান্ট ডেস্ক : সামনে বাসন কারখানার ‘ধোঁকার টাটি’। তার আড়ালেই যে এত বড় কর্মকাণ্ড চলছে ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কেউ। পুলিশের (Kolkata Police) বাহিনী হানা দিতেই হল পর্দাফাঁস। কারখানার আড়ালে গোপন কুঠুরিতে আস্ত আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানা। বিশাল বিশাল যন্ত্রপাতি নিয়ে রমরমিয়ে চলত কারবার। সেসব আগ্নেয়াস্ত্র পাচার হয়ে যেত বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। পুলিশি (Kolkata Police) অভিযান চালিয়ে বিহারে পর্দাফাঁস হল এই অস্ত্র কারখানার।
বাসন কারখানার আড়ালে অস্ত্র ভাণ্ডারে তল্লাশি কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police)
বিহারের মুঙ্গের জেলার গাজীপুর থানা এলাকায় মহম্মদ মোনাজিরের বাড়িতেই চলত এই কর্মকাণ্ড। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) স্পেশাল টাস্কফোর্স, বিহার পুলিশের এসটিএফ এবং তারাপুর পুলিশ। বাড়ির সামনেই দেখা যায় বাসন তৈরির কারখানা। কিন্তু তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে পড়ে আসল কাণ্ড। মাটির নীচে বানানো ছিল গোপন কুঠুরি। সেখানেই আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানা।
উদ্ধার হয়েছে মেশিন এবং আগ্নেয়াস্ত্র: মাটির নীচের গোপন কারখানা থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে ছয়টি সেভেন এমএম পিস্তল, ছয়টি পিস্তলের বাট, একটি লেদ মেশিন, একটি মিলিং মেশিন, একটি গ্রাউন্ডিং এবং একটি পলিশিং মেশিন। মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির প্রচুর কাঁচামাল। পুলিশ (Kolkata Police) সূত্রে জানা যাচ্ছে, মহম্মদ মোনাজির, তার ভাই মহম্মদ নাসিং এবং ইরশিদ মালিক মিলে চালাত এই গোপন অস্ত্রের কারখানা। আর সামনে খাড়া করে রাখত থালা বাসন তৈরির কারখানা।
আরো পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে “আপত্তিকর” পোস্ট! ইতিমধ্যেই গ্রেফতার ৩৯, প্রশ্নের মুখে বাকস্বাধীনতা
গ্রেফতার হয়েছে দুজন: ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর পুলিশ (Kolkata Police) সূত্রে। মুঙ্গের থানায় দায়ের হয়েছে মামলা। যেমনটা জানা যাচ্ছে, মাটির নীচের এই কারখানায় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি হয়ে পাচার হয়ে যেত বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। পুলিশের (Kolkata Police) যৌথ অভিযানে পর্দাফাঁস হল এই কর্মকাণ্ডের।
আরো পড়ুন : বিপদের দিনে বন্ধু ভারত, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মান দিচ্ছে এই দেশ
এর আগেও বিহার থেকেই একাধিক অস্ত্র কারখানার খোঁজ মিলেছে। পুলিশি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত তিন বছরে বিহারে ১৪ টি অস্ত্র কারখানার হদিশ পেয়ে পর্দাফাঁস করা হয়েছে।