বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে ১০ দফা দাবি সামনে রেখে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors)। ১৬৩ ধারা জারি থাকলেও ধর্মতলায় তাঁদের অবস্থান চলছে। এবার এই নিয়ে প্রশ্ন করা হতেই ‘উপযুক্ত পদক্ষেপে’র কথা বললেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা।
জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors) অবস্থান নিয়ে কী বললেন সিপি?
শনিবার রাত থেকে ধর্মতলায় অনশন করছেন ৬ জন জুনিয়র চিকিৎসক। রবিবার যোগ দেন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’, আরজি করের অনিকেত মাহাতো। সোমবার পুজো উপলক্ষ্যে কলকাতা পুলিশের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সিপি মনোজ (Manoj Verma)। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, পুলিশই ধর্মতলায় ১৬৩ ধারা জারি করেছে। তা সত্ত্বেও জুনিয়র চিকিৎসকরা সেখানে অবস্থান করছেন। পুলিশ কী করবে?
জবাবে কলকাতার পুলিশ কমিশনার শুধু বলেন, ‘এই বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে’। যদিও কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেই বিষয়ে খোলসা করেননি মনোজ। এই নিয়ে তিনি বেশি কথাও বলতে চাননি বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডে প্রথম চার্জশিট! ধর্ষণ-খুন করেছে সঞ্জয়ই! নাম রয়েছে সন্দীপ-অভিজিতেরও
কলকাতা পুলিশই (Kolkata Police) ধর্মতলা চত্বরে ১৬৩ ধারা জারি করেছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফ থেকে সেখানে অবস্থান করতে চেয়ে মেল করা হয়েছিল। তবে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, পুজোর আবহে সেখানে ভালোরকম ভিড় হচ্ছে। কেনাকাটার জন্য রোজই বহু মানুষ আসছেন। এছাড়া নানান মণ্ডপে প্রতিমা নিয়ে যাওয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।
পুলিশ জানায়, এই পরিস্থিতিতে ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে জুনিয়র ডাক্তাররা অবস্থানে বসলে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধা হতে পারে। পুলিশি অনুমতি না মিললেও জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) ওখানেই শনিবার থেকে অনশনে বসেছেন। এবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার স্পষ্ট জানালেন, এই বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে আজ শহরের কিছু প্রবীণ নাগরিক ও বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের নিয়ে ‘পুজো দর্শন’ নামের একটি কর্মসূচির আয়োজন করেছিল কলকাতা পুলিশ। তাঁদের মহানগরীর বেশ কিছু বড় পুজো দেখানোই এই বিশেষ কর্মসূচির উদ্দেশ্য। সিপি জানান, বহুদিন ধরেই কলকাতা পুলিশ এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত। এই বছর ৪ হাজারের অধিক প্রবীণ নাগরিক এবং ২ হাজারের অধিক বিশেষভাবে সক্ষম শিশু এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। তাঁদের বাসে করে ঘোরানোর পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ার আয়োজনও করা হয়েছে।