একি কাণ্ড! মত্ত অবস্থায় রাস্তায় গড়াগড়ি! উর্দিধারী কলকাতা পুলিশের কান্ড দেখে ‘ছি ছি’ করছেন সবাই

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েক দিনে একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা। পরপর বেশ কয়েকটি ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) পেশাদারিত্ব নিয়েও। চাপে পড়ে কিছুদিন আগেই বদলি করা হয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকেও। কিন্তু তারপরেও হুঁশ ফেরেনি বিন্দুমাত্র। গতকাল রাতে একথা প্রমাণিত হল আরও একবার। শনিবার রাতে উর্দিধারী এক পুলিশকর্মী ঘটালেন এমনই এক ঘটনা। মত্ত অবস্থায় পুলিশের পোশাক পরে রাস্তায় গড়াগড়ি খেলেন কলকাতা পুলিশের এক কর্মী। খবর মিলতেই ছুটে আসেন অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা। এরপর তাঁকে দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও ততক্ষণে গোটা ঘটনা চাউর হয়ে যায় চারিদিকে।

মত্ত অবস্থায় রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)

জানা যাচ্ছে, শনিবার রাত দশটা নাগাদ কলকাতা মেডিকেল কলেজ চত্বরে জরুরী বিভাগের সামনে বেশ কয়েকজনের জটলা দেখা যায়। হঠাৎ করেই তারা দেখেন মাটিতে শুয়ে ছটফট করছেন একজন পুলিশ কর্মী (Kolkata Police)। সবাই প্রথমে মনে করেছিলেন তিনি হয়তো কোন কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কিন্তু কাছে আসতেই সবাই টের পান ওই পুলিশ কর্মী আসলে মত্ত অবস্থায় ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে রয়েছেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা। সবাই মিলে ওই মত্ত পুলিশ কর্মীকে ওখান থেকে কোনক্রমে সরিয়ে নিয়ে যান। জানা যাচ্ছে, ওই মত্ত পুলিশকর্মীর নাম অরুণ কুমার দাস। গত রাতের এই ঘটনায় আরও একবার মুখ পোড়াল কলকাতা পুলিশের। প্রশ্ন উঠছে পুলিশের শৃঙ্খলা নিয়েও।

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে রয়েছেন মাত্র দুই মহিলা বিচারপতি! অবাক করবে তাঁদের পরিচয়

কয়েক সপ্তাহ আগেই বান্ধবীর সঙ্গে বিবাদের জেরে মত্ত অবস্থায় নিজের হাতে গুলি চালিয়ে দিয়েছিলেন চন্ডীতলা থানার আইসি। এখানেই শেষ নয়, এছাড়াও সম্প্রতি একাধিক ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মত্ত অবস্থায় ডিউটি করার অভিযোগ উঠেছে।

Kolkata Police naka checking

শিলিগুড়িতেই এক মহিলা পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে মত্ত অবস্থায় মারধর করার অভিযোগ করেছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। এই অবস্থায় অনেকে প্রশ্ন তুলছেন মত্ত অবস্থায় ডিউটি করা কি রাজ্যের পুলিশদের কাছে অভ্যাসে পরিণত হয়েছে?

Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

X