বাংলা হান্ট ডেস্ক : ‘রক্ষকই ভক্ষক’! আর কি কর কাণ্ডের পর থেকে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) সম্পর্কে এমনই ধারণা তৈরি হয়েছে রাজ্যবাসীর। সাধারণ মানুষ থেকে রাজ্যের বিরোধী পক্ষ সকলেরই দাবি ‘কিছু তো লুকাচ্ছে পুলিশ।’ যদিও সেই দাবি বারবার নস্যাৎ করে দিয়েছেন খোদ রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী থেকে শুরু করে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল-ও।
কার নির্দেশে পাল্টা স্লোগান কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police)?
কিন্তু তারপরেও সাধারণ মানুষের চোখে রাজ্যের পুলিশের (Kolkata Police) ভাবমূর্তি একেবারে তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ (Kolkata Police) বিরোধী একাধিক স্লোগানও উঠতে শুরু করেছে সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে। এরইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন আমদানি হয়েছে পুলিশ বিরোধী স্লোগান, ‘পুলিশ তুমি চিন্তা করো, তোমার মেয়েও হচ্ছে বড়।’
একই স্লোগান শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন প্রতিবাদ মিছিল কিংবা জমায়েত থেকেও। যদিও এই স্লোগানকে প্রচ্ছন্ন হুমকি বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ মহল। তাই এবার সাধারণ মানুষের তৈরী এই স্লোগানের পাল্টা স্লোগান দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। বড়, মেজো কর্তা থেকে শুরু করে তৃণমূল সমর্থকরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় পালটা স্লোগান দিয়ে লিখছেন, ‘পুলিশের মেয়ের চিন্তা ছাড়ো, সে লড়াই করেই হচ্ছে বড়।’
আর পুলিশের এই পাল্টা স্লোগান নিয়েই এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে। যা নিয়ে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করে বসলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে সুপ্রতীম সরকারের প্রসঙ্গ টেনে সিঙ্গুর আন্দোলনের কথা তোলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘সিঙ্গুর খ্যাত ২০০৬-এর ২৫ সেপ্টেম্বর সিঙ্গুর বিডিও অফিস থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে পেটাতে পেটাতে চ্যাঙদোলা করে তুলে এনেছিলেন যিনি, সিপিএমের সেই ব্লু আইড্ বয় সুপ্রতীম সরকার এখন এই বিষয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন : ‘কি করছে টালিগঞ্জ?’ বিতর্কিত ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া টলিউডের, পাল্টা প্রতিক্রিয়া কুনালের
বিজেপি নেতার দাবি তিনি ১৫-২০জন আইসি, ওসি-র কাছ থেকে এই খবর পেয়েছেন। তাঁরা নাকি কনফিডেনশিয়াল ফোন করে বলেছেন, ‘স্যর ক্ষমা করে দেবেন, করতে বাধ্য হচ্ছি। সুপ্রতীম সরকারের নির্দেশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের ওপর নির্ভর করেই আছেন। যে সমস্ত আইপিএস-রা নিজের ভালো পোস্টিংয়ের ব্যবস্থা করেন, নিজেদের ছেলেমেয়েদের ডাক্তারি-ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াচ্ছেন, আরামে বিলাসবহুলজীবনযাপন করছেন, পুলিশের সেই এক শ্রেণির অফিসাররাই নীচু তলার কর্মীদের বাধ্য করছেন এই ধরনের পোস্ট করতে।’
এছাড়াও রাজ্যজুড়ে পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশ নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের অনীহার কথা বলেছেন তিনি। রাজ্যে পুলিশের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেছেন শুভেন্দু। ভবিষ্যতেও নিয়োগ হওয়ার কোনো আশা দেখছেন না তিনি। আর তার অন্যতম কারণ ওবিসি নিয়ে জটিলতা। সেইসাথে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে পুলিশের নীচের তলাকে ম্যানেজ করতে চাইছেন।’