বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘রাত দখলে’র কর্মসূচির রাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। হাসপাতালে দেদার ভাঙচুর চালানো হয়। এমারজেন্সি বিভাগের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন হামলাকারীরা। তছনছ করা হয় সিসিইউ, এইচসিসিইউ, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার। এবার এই ঘটনায় দুষ্কৃতীদের ছবি প্রকাশ্যে এনে সন্ধান চাইল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)।
আরজি কর কাণ্ডে হামলাকারীদের ছবি শেয়ার করল পুলিশ (Kolkata Police)
বৃহস্পতিবার সকালে সমাজমাধ্যমে বুধবার রাতের একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছে কলকাতা পুলিশ। ওই ঘটনার ৫০টিরও বেশি ছবি শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে কয়েকজন পুরুষ এবং মহিলাকে। লাল গোল দিয়ে চিহ্নিত করে তাঁদের সন্ধান চাওয়া হয়েছে।
কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে শেয়ার করা ওই পোস্টে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, ‘সন্ধান চাইঃ নীচের ছবিতে যাদের চেহারা চিহ্নিত করা হয়েছে, তাঁদের সন্ধান জানা থাকলে অনুরোধ, জানান আমাদের, সরাসরি বা আপনার সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে’।
আরও পড়ুনঃ বিদ্যুতের বিল নিয়ে চিন্তা শেষ! মিলবে ৩০০ টাকা অবধি ছাড়! দুর্দান্ত প্রকল্প রাজ্য সরকারের
এর সঙ্গেই ইংরেজিতে বার্তা, নীচের ছবিতে লাল বৃত্তের মাধ্যমে যে ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তাঁদের শনাক্ত করার জন্য যে কেউ সাহায্য করতে পারেন। নিজের স্থানীয় থানার মাধ্যমে অথবা সরাসরি আমাদের কাছে জানানোর অনুরোধ করেছে কলকাতা পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, বুধবার মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলা (RG Kar Hospital Attack) চালায় একদল দুষ্কৃতী। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতাল এবং পুলিশকর্মীদের গাড়ি ভাঙা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী, নামানো হয় র্যাফ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলাকারীরা ইট ছোঁড়া হয় বলে খবর। আহত হন ডিসি নর্থ, ওসি মানিকতলা।
এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের কথায়, শুরুতে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ (Kolkata Police)। হামলার মুখে পড়ে কেন অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থ প্রতিবাদকারীদের বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তিনি জ্ঞান হারিয়েছেন। এখানে যা হয়েছে সেটা ভুল প্রচারের জন্য হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশ চিন্তিত’।