মহা বিপাকে ED! তদন্তকারী সংস্থার ঘুম ওড়াতে বিরাট চাল লালবাজালের, আসবেন ‘সেই’ ব্যক্তি

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি, আর এই নিয়োগ দুর্নীতি থেকেই সম্প্রতি উঠে এসেছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নাম। সেই নামেই এখন তোলপাড় রাজ্য। শিক্ষক কেলেঙ্কারির অভিযোগে জেলবন্দি কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra) একাধিক ঠিকানায় একযোগ হানা দিয়েছিল ইডি। রাতভর তল্লাশি চালানো হয়ে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের (Leaps and Bounds) অফিসেও।

প্রায় ১৮ ঘণ্টা তল্লাশির পর মঙ্গলবার সকালে সেখান থেকে প্রচুর নথি, ১টি হার্ড ডিস্ক ও ১টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে চলে যান ইডি (ED) আধিকারিকরা। সেই সময় অফিসে উপস্থিত ছিলেন ওই সংস্থার কর্মী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে, চন্দন ইডি-র গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে সংস্থার একটি কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল অচেনা ডাউনলোডের অভিযোগ দায়ের করেন কলকাতা পুলিশের (Kolkata police) কাছে। খোদ কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে এহেন দাবি তোলার পরই শোরগোল পড়ে যায়।

এরপরেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। কলকাতা পুলিশ ইডির কাছে গোটা বিষয়টি খোলসা করতে বলে। এরপর জবাবি চিঠি দিয়ে ইডি পুলিশকে জানায়, তাদের মধ্যেই এক আধিকারিক ওই কম্পিউটারে মেয়ের জন্য হস্টেলের খোঁজ নিচ্ছিলেন, সে সময়ই কোনও কারণ বশত ওই এক্সেল ফাইলগুলো ডাউনলোড হয়েছে।

আরও পড়ুন: চিটফান্ডকাণ্ডে যোগ! প্রায় ৬০ কোটি টাকা হাতিয়েছেন পার্থ, যা তথ্য সামনে এল দেখে ‘থ’ ED

ইডি আরও জানায় গোপনে নয় সকলের সামনে অন্যান্য অফিসারদের সামনেই ওই অফিসার মেয়ের হস্টেলের খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। যাদবপুর ঘটনার পর বাবা হিসেবে হস্টেল নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন ওই অফিসার। তার মেয়ে সম্প্রতি শিবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়েছে।

হোস্টেল নয় ঘাঁটাঘাঁটি করার সময়ই ওই ১৬টা এক্সেল ফাইল কোনওভাবে ডাউনলোড হয়ে গিয়েছে বলে দাবি ইডির। ইডি আরও জানায় তাদের অন্য কোনও রকম কোনও অভিসন্ধি ছিল না। এখানেই খটকা পুলিশের। ইডির এই উত্তরে সন্তুষ্ট নয় কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার মেল করে ইডি-র এক আধিকারিককে সশরীরে হাজির হয়ে পুরো বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে বলে লালবাজার।

ed abhishek kaku

আরও পড়ুন: হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীকে ‘বিশেষ’ অনুরোধ শুভেন্দুর! এবার কি করবেন মমতা? তুঙ্গে জল্পনা

তবে পুলিশের সেই মেলের উত্তর দিয়ে ইডি তরফে জানানো হয় ইতিমধ্যেই যা বলার তা লিখিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে হাল ছাড়ছে নারাজ লালবাজারও। ঘটনার আরও তথ্যপ্রমাণ পেতে, বিশদে জানতে এবার লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কর্মী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠিয়েছে লালবাজার।

উল্লেখ্য, গত ২৩ অগাস্ট এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইডি জানায়, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের চিফ অপারেটিং অফিসার ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। আর সংস্থার CEO পদে রয়েছেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওদিকে ইডির এই দাবি যে মিথ্যে নয় তা কার্যত প্রমাণ করে মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, ‘আমার অফিসে’ তল্লাশি হয়েছে। তারপর থেকেই আরও জোড়ালো হয়েছে জল্পনা।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর