বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজিকর (R G Kar) হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় (Doctor Rape and Murder Case) উত্তাল গোটা রাজ্য। নারকীয় এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ১৪ অগস্ট বাংলার রাস্তায় রাস্তায় ছিল মেয়েদের ‘রাত দখল’-এর কর্মসূচি। সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখালেও সেই রাতেই কর্মসূচী চলাকালীন আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই ইস্যুতেই নয়া তথ্য।
আরজিকর (R G Kar) হামলার ঘটনায় ধৃত ২৪
বুধবার রাতে হাসপাতালে হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৪ জন গ্রেফতার হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাদের নাম, ঠিকানা প্রকাশ করেছে কলকাতা পুলিশ। আর তাতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা যাচ্ছে ধৃত সকলেরই বয়স ১৯ থেকে ৩৫ এর মধ্যে। রয়েছেন এক মহিলাও।
বুধবারের ঘটনায় ধৃতেরা হলেন বারতলার বাসিন্দা অভিজিৎ সাউ (২৪), করসিনি রাজগুপ্ত (৩৪), হাওড়ার অশোকপুরের বাসিন্দা চিরাগ ঘাগারিয়া (২৩), উল্টোডাঙার শান্তনু ঘোষ (২৪), নিমতার বাসিন্দা সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য (৩১), দক্ষিণেশ্বরের শান্তনু সরকার (২৫), নিমতার অরিজিৎ বেরা (২৯), উল্টোডাঙার তনবির আলম (১৯), ক্ষুদিরাম বোস সরণির মহম্মদ আসলাম (১৯), উল্টোডাঙার নবীন সিংহ ওরফে লাল (২১), ফুলবাগানের প্রদীপ সেন ওরফে পাপাই (২২)।
তালিকায় রয়েছেন মানিকতলার বাসিন্দা শুভদীপ কুন্ডু সানি (২২), চিৎপুরের ঋষিকান্ত মিশ্র ওরফে ঋষি (৩৫), মানিকতলার মানসকুমার বিশ্বাস (২৪), জোড়াসাঁকোর পল ঘোষ (২৯), উল্টোডাঙার দেবাশিস মণ্ডল ওরফে বাবাই (২৯), রাজু বাগ ওরফে পোকাই (২৮), সুরজিৎ কর্মকার (৩৪), চিৎপুরের রোহিত বারুই (২৪), নাগের বাজারের সৌমিক দাস (২৪), লেক টাউনের বাসিন্দা শেখ সজন (২৮), মানিকতলার বাসিন্দা সৌম্যদীপ মাহিষ ওরফে বুম্বা (২২), সেখানকারই মুরারীপুকুর রোডের সৌরভ দে ওরফে বাবু (২৩)।
আরও পড়ুন: সকাল থেকেই বজ্রপাত সহ তুমুল বৃষ্টি! আজ ভিজবে দক্ষিণবঙ্গের ১০ জেলা: আবহাওয়ার খবর
এই ২৩ যুবক ছাড়াও ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক মহিলাও। তিনি বরাহনগরের বাসিন্দা নাম রুমা দাস (২৭)। কেন বুধবার রাতে ওই ঘটনা ঘটানো হল, হামলাকারীদের কী উদ্দেশ্য ছিল, এই সকল প্রশ্নের উত্তর পেতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। আবার বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠছে হাসপাতালের চারতলার সেমিনার হল ভাঙাই হামলাকারীদের মূল উদ্দেশ্য ছিল। ভুলবশত তারা তিনতলার জরুরি বিভাগে হামলা চালায়।
এদিকে এই সকল বিষয় নিয়ে ধন্দের মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বুধবারের রাতে হাসপাতালে (R G Kar) ভাঙচুরের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যেখানে এক জনকে বলতে শোনা যাচ্ছে,”সেমিনার হল চল, চল…”। যা থেকে বিতর্ক আরও জোরদার হয়েছে। যদিও ভাইরাল ভিডিয়ো প্রসঙ্গে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের মন্তব্য, ”হামলাকারীদের কারও সেমিনার হলে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল কি না, এমন কিছু পাওয়া যায়নি।”