বাংলাহান্ট ডেস্ক : তৃতীয়বারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর শনিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি। দুই রাষ্ট্র প্রধানের বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মোদি ও হাসিনার এই বৈঠকে ১৩ টি উদ্যোগের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল গত শনিবার।
এগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হল রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে নতুন রেল পরিষেবা (Train Services) শুরু করা। প্রায় ৭৭ বছর পর এই উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই ইতিহাসের দিনগুলিতে ফিরে যাবেন দুই বাংলার বাঙালি। অবিভক্ত বাংলায় ভারতের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ হয়ে ট্রেন ব্যবস্থার মাধ্যমে যুক্ত ছিল কলকাতা (Kolkata) ও রাজশাহী (Rajshahi)।
আরোও পড়ুন : ফুঁসে উঠছে নদী,সঙ্গে প্রবল হাওয়া! চরম প্রতিকূলতায় খেল দেখাল সেনা, ৪৮ ঘণ্টায় তৈরি ১৫০ ফুট ব্রিজ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছেন বাংলা ও রাজশাহীর মধ্যে ট্রেন পরিষেবা পুনরায় শুরু করার। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্রে খবর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর সীমান্ত দিয়ে এই ট্রেন হাওড়া পৌঁছাবে সিঙ্গাবাদ, মালদহ, ফারাক্কা, কাটোয়া, খাগড়াঘাট হয়ে।
আরোও পড়ুন : জল থেকে নিকাশি ব্যবস্থা, সবকিছুর বেহাল দশা! ‘আমায় রাস্তা ঝাঁট দিতে হবে?’ প্রশ্ন ক্ষুব্ধ মমতার
ট্রেনটি মোট ৪২৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে যাত্রাপথে। প্রায় ১১ ঘণ্টা মতো সময় লাগবে এই দীর্ঘযাত্রা পথ অতিক্রম করতে। প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর সেই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘রাজশাহী-কলকাতা সরাসরি ট্রেন চালুর জন্য আমরা বিভিন্ন সময় দাবি জানিয়েছি।’
পাশাপাশি তিনি আরোও বলেন, ‘অবশেষে এই ট্রেন চালু হতে চলেছে। এই সিদ্ধান্তকে আমরা গোটা রাজশাহীবাসী সাধুবাদ জানাই। এবার থেকে রাজশাহী অঞ্চলের অসংখ্য রোগী এই ট্রেনে স্বস্তির সঙ্গে চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে পারবে। তাদের জন্য এই ট্রেন যে কতটা উপকারে আসবে, সেটা বলে বোঝানো কঠিন।’