কেন ওই রাতে সেমিনার হলেই ঘুমোতে গিয়েছিলেন তরুণী? চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল CBI

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১২ দিন পার! আর জি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় (RG Kar Doctor Death Case) বহু প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গোটা ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। আর তারপরই নানা তথ্য সামনে উঠে আসছে। ঘটনার রাতে কেন ওই তরুণী চিকিৎসক সেমিনার হলে ঘুমোতে গিয়েছিলেন? এবার সামনে এল সম্ভাব্য কারণ।

আর জি কর কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য (RG Kar)

কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে ৩১ বছর বয়সি ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে উত্তাল দেশ। গত ৮ আগস্ট, মারা যাওয়ার দিন নাইট শিফটে ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল তিলোত্তমার ক্ষত-বিক্ষত দেহ। পরনের পোশাক অবিন্যস্ত অবস্থায়। সেমিনার হলে ছিল না কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা। কিন্তু কেন সেমিনার হলে ঘুমোতে গিয়েছিলেন তরুণী?

জানা যাচ্ছে সেই ‘অভিশপ্ত’ রাতে স্লিপিং ওয়ার্ডে (স্লিপ এপনিয়া রোগী যেখানে থাকে) বেশ কিছু রোগী পর্যবেক্ষণে ছিলেন। ঘুমন্ত অবস্থায় রোগীকে সেখানে নজরে রাখতে হয়। বেশিরভাগ দিনই ওই ওয়ার্ডে বেশি রোগী থাকেন না বলে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা ওখানেই ঘুমোতেন বা বিশ্রাম নিতে যান। কিন্তু সেই রাতে ওই ওয়ার্ডে রোগী ছিল। সেই কারণে তরুণী চিকিৎসক সেমিনার হলে একটু ঘুমোতে যান।

তরুণী চিকিৎসকের দেহ যখন উদ্ধার করা হয় তখন তার দুই চোখ, মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। যৌনাঙ্গে ও গলায় ছিল ক্ষত। আঘাতের চিহ্ন ছিল মুখে, পায়ে, নখে, পেটে, হাতে, ঠোঁটে। চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ করে খুন করার বিষয় স্পষ্ট। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল তরুণী চিকিৎসককে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি আরও কেউ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল কিনা সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

RG Kar incident

আরও পড়ুন: DA নিয়ে খারাপ খবর! আর মিলবে না মহার্ঘ ভাতা? সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় আপডেট

ওদিকে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে আর জি কর মামলা নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবারের মধ্যে আরজি কর কাণ্ডের স্ট্যাটাস রিপোর্ট সিবিআইকে (CBI) সর্বোচ্চ আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর