মেধাতালিকায় ঠাঁই নেই কলকাতার স্কুলগুলির, বামেদের আক্রমন করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রকাশিত হল চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার  ফল। এই প্রথম কলকাতার (kolkata) ঝুলি শূন্য৷ মেধাতালিকায় জেলার রমরমার মাঝে জায়গাই পেল না কলকাতা। সকাল দশটায় ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের রেজাল্ট।

আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করেন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। প্রকাশ করা হয়েছে মেধাতালিকাও। সাফেল্যর চাবিকাঠি দেখা গেছে মেদিনীপুরেই। মেধাতালিকায় রয়েছে জেলা গুলি। আর তা নিয়ে মন্তব্য করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (
Pertha Chatterjee)।

west bengal madhyamik pariksha results 2019 2019 05 21

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১৭ বছর ইংরেজি তুলে দিয়েছে’, ঘুরিয়ে বাম আমলকে কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর। তিনি আরও বলেন, আগের বছর কলকাতার ফল খুব একটা ভালো হয়নি। আমরা পরিকাঠামো বদলাচ্ছি, ফল পেতে সময় লাগবে। কিন্তু ফল পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, প্রথম দশে স্থান পেয়েছে ৮৪ জন পড়ুয়া ৷ প্রথম ১০ জনের মধ্যে নেই কলকাতার কোনও স্কুলের পরীক্ষার্থী। প্রথম দশ জনের মধ্যে রয়েছেন ৮৪ জন জেলার। এবারের মাধ্যমিকে প্রথম অরিত্র পাল। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল স্কুলের ছাত্র অরিত্র। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭০০-র মধ্যে ৬৯৪। অর্থাৎ ৯৯.১৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছে অরিত্র।

exam students wikimedia

মাধ্যমিকে এবার দ্বিতীয় হয়েছে দু’জন। বাঁকুড়ার সায়ন্তন গড়াই ও পূর্ব বর্ধমানের অভীক দাস। এদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে তিনজন। বাঁকুড়ার সৌম্য পাঠক, পূর্ব মেদিনীপুরের দেবস্মিতা মহাপাত্র ও অরিত্র মাইতি অধিকার। তিনজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০।

কলকাতার খারাপ ফল প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘ব্যাপারটা নিয়ে বিশ্লেষণের দরকার রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এর পিছনে কারণ হল- ভাল ভাল ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক বোর্ড ছেড়ে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ার প্রবণতা বেড়েছে। কলকাতার প্রথম সারির স্কুলগুলিতে কৃতী পড়ুয়ারা আর পড়তে আসছেন না। তাই জেলার সঙ্গে টক্করে পিছিয়ে যাচ্ছে কলকাতা।


সম্পর্কিত খবর