দার্জিলিং অতীত! এবার স্নো ফল দেখতে পাবেন দক্ষিণবঙ্গেই! মাত্র ৫০০ টাকাতেই হবে বাজিমাত

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মাঝে মাঝে আকাশ মেঘলা করে বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরম জারি রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। বৃষ্টি হলে ক্ষনিকের স্বস্তি পাচ্ছে রাজ্যবাসী। কিন্তু বাতাসে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প রয়েছে তাই ভ্যাপসা গরম যেন যাচ্ছেই না। রীতিমতো অস্বস্তিকর আবহাওয়া দক্ষিণ বঙ্গ জুড়ে। দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা।

তবে এই সময়টা একটু শীতলতা উপভোগের জন্য অনেকেই দার্জিলিং এর উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন। কিন্তু এবার কলকাতায় বসে পাহাড়ি এলাকার বরফের শীতলতা উপভোগ করতে পারবেন। মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্ন মধ্যবিত্ত হোক বা গরিব সবার পক্ষে কিন্তু দার্জিলিঙে গিয়ে ছুটি কাটানো কিংবা বরফ শীতল আবহাওয়া উপভোগ করার সুযোগ মেলেনা।

   

আরোও পড়ুন : লাগে না পাসপোর্ট! ভিসা ছাড়াই হয়ে যায় ফরেন ট্যুর! এই ৩ ব্যক্তির তালিকায় কারা আছেন জানেন?

তবে এবার সেসব কথা ভুলে যান। কলকাতায় (Kolkata) বসেই স্নোফলের মজা নিতে পারবেন। ভাবছেন আজগুবি কথা বলছি? একেবারেই না। তাহলে কোথায় আছে এমন জায়গা? কলকাতার মধ্যেই সব থেকে কম বাজেটে স্নো ফলের মজা নিতে পারবেন কলকাতা কলকাতাবাসী। আশেপাশের মানুষও চাইলে এখানে আসতেই পারেন।

আরোও পড়ুন : পাকিস্তানের এই ৩ বিধ্বংসী খেলোয়াড় ভারতকে দিতে পারে বড় ধাক্কা, একজনের জন্য হাতছাড়া হয়েছে ট্রফিও

জানা গিয়েছে যে, কলকাতার পাশে নিউটাউনের অ্যাক্সিস মলের ষষ্ঠ তলায় রয়েছে স্নো পার্ক। এখানে আসতে হলে মেট্রো করে সেক্টর ফাইভ আসতে হবে। নাহলে নিউ টাউন গামী অটো বা বাসে বিশ্ব বাংলা গেটে এসে সেখান থেকে অটো কিংবা বাসে অ্যাক্সিস মল পৌঁছে যান। সেখানকার স্নো পার্কে প্রচুর স্নো অ্যাকটিভিটি রয়েছে।

-৬° সেলসিয়াস তাপমাত্রা সেখানে। সাথে দুর্দান্ত মিউজিক আর আর্টিফিশিয়াল স্নও ফল। তবে তিন বছরের নিচে শিশুদের সেখানে প্রবেশাধিকার নেই। এই পার্কে প্রবেশ করতে গেলে প্রত্যেকজনের ৫০০ টাকা করে লাগে। মাত্র এক ঘন্টা থাকতে পারবেন এই পার্কে। নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার জন্য লকার পাবেন।

unnamed

সেক্ষেত্রে ১০০ টাকা নেওয়া হয়। লকারে চাবি ফেরত দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই টাকা রিফান্ড পাবেন। এছাড়াও বুটস্, জ্যাকেট ও গ্লাভস্ প্রভৃতি ওই টাকাতেই পাওয়া যাবে। এক জোড়া মোজার জন্য ৩০ টাকা নেওয়া হবে যার টাকা রিফান্ড করা হবে না। প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকে এই স্নো পার্ক।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর