বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর শেষের আগে আজই সন্দেশখালি থেকে একগুচ্ছ ঘোষণা করার পাশাপাশি কলকতার বিখ্যাত স্টার থিয়েটারের (Star Threatre) নাম পরিবর্তন করে নটি বিনোদিনীর নামে ‘বিনোদিনী থিয়েটার’ করার কথা ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তারপরেই কার্যত নড়েচড়ে বসল কলকাতা পুরসভা।
স্টার থিয়েটারের (Star Threatre) নাম বদলে ‘নটি বিনোদিনী’
সোমবার দুপুরেই নতুন নাম ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে বিকেলের মধ্যেই তড়িঘড়ি কলকাতার শতাব্দী প্রাচীন স্টার থিয়েটারের (Star Threatre) নাম বদলে ‘বিনোদিনী’ থিয়েটারের করার বিজ্ঞপ্তি জারি করল কলকাতা পুরসভা। কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অনুমতি পাওয়ার পরেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন পৌর সচিব স্বপন কুমার কুণ্ডু।
সেই মর্মে ইতিমধ্যেই স্টার থিয়েটারের সামনে ঝুলছে ‘নটি বিনোদিনী’র অস্থায়ী ফলক। সোমবার সন্ধ্যার মধ্যেই ‘বিনোদিনী’ নামের নতুন অস্থায়ী ফলক লাগিয়ে দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। আর সেইসাথে সরিয়ে ফেলা হয়েছে স্টার (Star Threatre) নামের ফলকও। পুরসভা সূত্রে খবর আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারের মধ্যেই নতুন স্থায়ী ফলক-ও লাগিয়ে ফেলা হবে।
এপ্রসঙ্গে এদিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরেই আমরা স্টার নামের ফলক সরিয়ে দিয়েছি। আপাতত বিনোদিনী থিয়েটার নামের অস্থায়ী ফলক লাগানো হয়েছে। কাল স্থায়ী ফলক লাগিয়ে দেওয়া হবে।’ স্টার থিয়েটারের নাম বদলানোর প্রসঙ্গে কলকাতা হেরিটেজ কমিশনের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, রাজ্য কোনও ঐতিহ্যবাহী বিল্ডিংয়ের নাম পাল্টাতেই পারে। এতে কোনও সমস্যা নেই।
আরও পড়ুন: জেলায় নতুন মহকুমা থেকে সন্দেশের হাব! সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়ে একগুচ্ছ ঘোষণা মমতার
প্রসঙ্গত ঐতিহ্যবাহী এই প্রাচীন থিয়েটারটি আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে একেবারে নতুন রূপে সেজে ওঠে স্টার থিয়েটার। সুব্রত মুখোপাধ্যায় মেয়র থাকাকালীন তাঁর উদ্যোগেই স্টার থিয়েটারকে নতুন ভাবে সাজানো হয়েছিল। মেয়রের হাত ধরেই এই নতুন স্টার থিয়েটারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছিল। সিনেমা হল, রেস্তরাঁ, ক্যাফে থেকে শুরু করে বিশেষ গ্যালারি কি নেই এই ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন মঞ্চে। এবার তারই প্রায় দু’দশকের মাথায় স্টারের নাম বদলে হয়ে যাচ্ছে বিনোদিনী থিয়েটার।
বিনোদিনী দাসীর হাত ধরে ১৮৮৩ সালে প্রথম পথ চলা শুরু হয়েছিল এই নাট্যমঞ্চের। জানা যায় একসময় এই মঞ্চেই বিনোদিনীর নাটক দেখতে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে নাটক দেখতে এসেছিলেন স্বয়ং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর,থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরদের মতো বাংলার বিখ্যাত মহাপুরুষরা।