বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘লটারি’ হলো এমন এক চমৎকার, যা জিতে রাতারাতি ভাগ্য পরিবর্তন ঘটানোর স্বপ্ন দেখে আট থেকে আশি, সকলেই। বহু সময় এমন একাধিক ঘটনা সামনে আসে, যেখানে লটারির টিকিট কাটার মাধ্যমে এক রাতের মধ্যেই কোটিপতি হয়ে যান অনেক হতদরিদ্র মানুষ। তবে এবার লটারি জিতে কোটিপতি হলেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) বিধায়কের স্ত্রী। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।
সম্প্রতি, ডিয়ার লটারিতে একটি টিকিট কেনেন কলকাতার জোড়াসাঁকো এলাকার তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তর স্ত্রী। তবে এক্ষেত্রে ওই একটিমাত্র টিকিটের মাধ্যমে যে এক কোটি টাকা প্রাপ্তি ঘটবে, তা কখনোই কল্পনা করেননি বিধায়ক স্ত্রী রুচিকা গুপ্ত। ফলে সম্পূর্ণ ঘটনাটির দরুণ উচ্ছ্বাস ধরা পড়েছে তাঁর গলায়।
একই সঙ্গে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গোটা ঘটনাটি সামনে এনেছে লটারি আয়োজক সংস্থা। বলে রাখা ভালো, এই খবর সামনে আসায় রুচিকার বক্তব্যে উচ্ছ্বাসের ধরা দিলেও বিশেষ কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি জোড়াসাঁকোর তৃণমূল বিধায়ককে।
এদিন তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “এখনো ঠিক করা হয়নি। লটারির টাকা হাতে পেলে তারপর স্থির করা যাবে, কি করব।” যদিও অপরদিকে তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রী জানান, “যখন আমি জানলাম, লটারি থেকে এক কোটি টাকা প্রথম পুরস্কার জিতেছি, খুব অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কখনো ভাবিনি আমার ব্যাঙ্কে এক কোটি টাকা থাকবে। আমাকে দুর্দান্ত সুযোগ দিয়ে জীবন বদলে দেওয়ার জন্য ডিয়ার লটারি এবং নাগাল্যান্ড রাজ্য লটারিকে অসংখ্য ধন্যবাদ।”
একই সঙ্গে তিনি বলেন, “এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটাবো।” রুচিকার বক্তব্যে উচ্ছ্বাস ধরা পড়লেও বিশেষ কোনো প্রতিক্রিয়া কেন দিলেন না তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্ত? বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান সময়ে একের পর এক দুর্নীতি মামলায় যেভাবে তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের নিকট হতে কোটি কোটি টাকার খোঁজ মিলে চলেছে, তাতে অত্যন্ত সাবধান সকলেই। ফলে লটারি জেতার ঘটনায় নতুন করে কোনো বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে বলেই মুখে এক প্রকার কুলুপ এঁটেছেন জোড়াসাঁকোর এই তৃণমূল বিধায়ক।