বাংলাহান্ট ডেস্ক : কাশীধামের সাথে বাঙালির যোগ সেই প্রাচীন কাল থেকেই। বারবার সাহিত্য-চলচ্চিত্রে ফুটে উঠেছে বাংলার সাথে কাশীধামের সুনিবিড় সম্পর্ক। প্রতিবছর অসংখ্য বাঙালি কাশী বা বারাণসী যান বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দিতে। কলকাতা (Kolkata) থেকে সড়কপথে প্রায় ১২ ঘন্টা সময় লাগে বারাণসী পৌঁছাতে।
কলকাতা (Kolkata) থেকে কাশীধামে সফর:
তবে এবার অর্ধেকেরও কম সময় বারাণসী (Varanasi) পৌঁছে যেতে পারবেন বাঙালি পুণ্যার্থীরা। সূত্রের খবর, কলকাতা ও বারাণসীর মধ্যে যে নতুন এক্সপ্রেসওয়ে (Expressway) তৈরি হতে চলেছে তার সাথে সংযুক্ত করা হবে বারাণসী-চান্দৌলি রুটও। ২৭ কিলোমিটার এই বেল্ট তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ১,৫০০ কোটি টাকা।
আরোও পড়ুন : ডিসেম্বরের মধ্যেই….রাখঢাক না রেখে এবার বড় ঘোষণা ইউনূসের, ফের চর্চায় বাংলাদেশ
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, বারাণসী থেকে কলকাতা পর্যন্ত গ্রিন ফিল্ড প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়েছে। বারাণসী থেকে চান্দৌলি পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটারের সংযুক্ত রুট এই প্রকল্পের অন্যতম বিশেষত্ব। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়েছে প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে অনেক কম সময়ে কলকাতা থেকে বারাণসী যাতায়াত সম্ভব হবে।
আরোও পড়ুন : জোর ধাক্কা! ফের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা উত্তরবঙ্গে! আহত শিশু সহ একাধিক
বর্তমানে জিটি রোডের মাধ্যমে সম্পর্কিত কলকাতা ও বারাণসী। তবে জিটি রোডে যাত্রীবাহী যানবাহনের পাশাপাশি চলাচল করে মালবাহী গাড়ি। এর ফলে তৈরি হয় প্রবল যানজট। অনেকটাই কমে যায় ট্রাফিকের গতি। তবে নয়া রুটে যান চলাচল শুরু হলে জিটি রোডের উপর চাপ কমবে অনেকটাই।
কর্তৃপক্ষের আশা নয়া রুট বাস্তবায়িত হলে গতি আসবে জিটি রোডেও। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিকের কথায়, বাস বা গাড়ির মাধ্যমে সড়কপথে যারা কাশী যেতেন তাদের কাছে বিকল্প ব্যবস্থা ছিল না এতদিন। তবে আগামী দিনে দুটি বিকল্প থাকতে চলেছে কাশীগামী যাত্রীদের কাছে। ১২ ঘণ্টার পরিবর্তে মাত্র ৬ ঘন্টাতেই পৌঁছে যাওয়া যাবে গন্তব্যে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক আরো জানান, নয়া এক্সপ্রেসওয়ে চালু হয়ে গেলে গোরক্ষপুর, আজমগড়, মউ, বালিয়া, গাজিপুর, জৌনপুর, প্রয়াগ, লখনউ এবং দিল্লি থেকে আসা পথ চান্দৌলি হয়ে বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। যার ফলে অনেক কম সময়ে পর্যটক ও পুণ্যার্থীরা যাতায়াত করতে পারবেন সড়ক পথে।