হাতে একদম সময় নেই! আর মাত্র ৬ বছর! সব শেষ হয়ে যাবে কলকাতার! কেসটা কী?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কলকাতা-দিল্লী-মুম্বাই-চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো শহরগুলি ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে জলের তলায়। ক্রমাগত বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর। জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রমশ শহরগুলি চলে যাচ্ছে জলের নিচে। সম্প্রতি হওয়া একটি গবেষণা বলছে, আগামী ৬ বছরের মধ্যে সমুদ্র স্পর্শ করে ফেলবে কলকাতাকে (Kolkata)।

আগামী ৬ বছরে কলকাতার (Kolkata) অবস্থা

তবে বাস্তব কিন্তু হতে চলেছে আরো চিন্তার। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হাতে আর বেশি সময় নেই। ধীরে ধীরে কলকাতা (Kolkata) সহ বাংলার একটা বৃহত্তম অংশ চলে যাবে জলের তলায়। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে তাপমাত্রা বাড়ছে সর্বত্র। ক্রমাগত বাড়ছে অ্যাভারেজ গ্লোবাল টেম্পারেচার।

   

আরোও পড়ুন : খোয়া গেছে আধার কার্ড? নম্বরও মনে নেই? নো টেনশন! এবার নিমেষেই হবে সমাধান! কী করবেন?

এক ভূতত্ত্ববিদের কথায়,  ‘কলকাতার মাটির তলা থেকে ধীরে ধীরে পলি রাশি সরে যাচ্ছে। কলকাতার মাটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। উল্টোদিকে সমুদ্রের জলস্তরের পরিমাণ অতি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এভাবে জলস্তর বাড়তে থাকাটা কলকাতার জন্য ভয়ংকর। শুধুমাত্র কলকাতা নয়। ভারতবর্ষের উপকূলবর্তী এলাকার ১২টি শহর তলিয়ে যেতে পারে আগামী ১২-১৫ বছরের মধ্যে।’

আরোও পড়ুন : এক্কেবারে Safest City! এই শহরগুলোয় অন্ধকারেও নিশ্চিতে ঘুরতে পারবেন আপনি! ভারতের কী হাল ?

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে ক্রমশ গলছে হিমবাহ। যার জেরে বাড়ছে জলস্তর। সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পেলে নদীতে ঢুকতে শুরু করবে নোনা জল। ইতিমধ্যেই এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করেছে উপকূলীয় শহরগুলি। ক্রমশ কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে আর কমছে অক্সিজেনের পরিমাণ। বরফ ও হিমবাহগুলির গলে যাওয়ার ফলেই তৈরি হয়েছে এই পরিস্থিতি।

rain

২০৩০ সালের মধ্যে যদি পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয় তাহলে ধীরে ধীরে অনেক শহর তলিয়ে যাবে জলের তলায়। বিশেষজ্ঞদের কথায়, যারা ভাবছেন যে শুধুমাত্র মুম্বাই বা কলকাতা (Kolkata) ক্ষতিগ্রস্ত হবে তারা ভুল করছেন। সমুদ্রের তলায় চলে যেতে পারে পূর্ব এবং পশ্চিম উপকূলবর্তী এলাকা থেকে স্ট্রেটলাইনে প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর