করোনার প্রকোপ, সংসার টানতে কলকাতার নামী গায়িকা এখন ফুটপাতে পাউরুটি বিক্রেতা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত মার্চ মাস থেকেই করোনা (corona) ভাইরাসের দাপট দেখে চলেছে গোটা বিশ্ববাসী। মাত্র একটি আণুবীক্ষণিক ভাইরাস যে গোটা মনুষ‍্যকুলকে এমন নাজেহাল করতে পারে তা ২০২০র আগে।সম্ভবত কেউই ভাবতে পারেনি। লক্ষ লক্ষ মৃত‍্যুর সঙ্গে অবনতির দিকে বেশ কয়েকটি দেশের অর্থনীতি।
গত চার মাস ধরে করোনার সঙ্গে চলছে লড়াই। গোটা বিশ্ব চলে গিয়েছে লকডাউনের (lockdown) আওতায়। এখন অবশ‍্য কয়েকটি দেশ করোনা মুক্তির পথে হাঁটতে শুরু করেছে। ভারতেও ধাপে ধাপে উঠছে লকডাউন। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে মানুষের জীবন। লকডাউনে যাদের কাজ বন্ধ ছিল তাদের কিছু সংখ‍্যক নতুন করে জীবিকা শুরু করেছে।
কিন্তু বাকিদের কাছে এখনও নেই কোনও কাজ। কলকাতার নীলিশা বসাকও তেমনই একজন‍। পেশায় তিনি গায়িকা। কিন্তু দীর্ঘ লকডাউন নীলিশাকে তাঁর পেশা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। বাধ‍্য হয়ে এখন দোকানদারির কাজটাই বেছে নিতে হয়েছে তাঁকে। কলকাতার নামী গায়িকা এখন সংসার চালাতে ফুটপাতে দোকান খুলে বসছেন।

ezgif.com webp to jpg 1 4
হাতিবাগানের হরি ঘোষ স্ট্রিটে ট্রাম লাইনের পাশের ফুটপাতে নীলিশার দোকান। পাওয়া যায় দুধ, পাউরুটি, ডিম, হরেক রকম বিস্কুট, কুকিজ। পুঁজি বলতে নিজের ব‍্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমানো টাকা। দুই দাদার সহযোগিতাতেই এই দোকান খুলে বসেছেন নীলিশা। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় তাঁর জীবন সংগ্রাম।
বছর ২৪ এর নীলিশা স্নাতক পাশ করে সঙ্গীতকেই নিজের পেশা হিসাবে বেছে নেন। কলকাতা ও আশপাশের জেলার বিভিন্ন জলসা, অনুষ্ঠানে নীলিশার গান বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে দোল, রথযাত্রার মতো উৎসবে ব‍্যস্ততা বাড়ে তাঁর।

ezgif.com webp to jpg 7
কিন্তু করোনার প্রকোপে বন্ধ হয়ে গিয়েছে এসব অনুষ্ঠান। করা যাবে না বেশি জনসমাগমও। লাটে উঠেছে নীলিশার পেশাও। কিন্তু সংসারের হাল তো ধরতে হবে। তাই বাধ‍্য হয়ে দোকানদারি। যতদিন না করোনা পুরোপুরি যাচ্ছে, পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হচ্ছে ততদিন এই ছোট্ট দোকানই নীলিশার সম্বল।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর