বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কার্যত বৃষ্টির চোখরাঙানি সাথে নিয়েই পুজোর দিনগুলো কেটেছে বাঙালির। তবে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বর্ষা ইতিমধ্যেই বিদায় নিয়েছে, তাই ভাবা গিয়েছিল হয়তোবা এবার কিছুটা রেহাই মিলতে পারে বৃষ্টির হাত থেকে। তবে ফের একবার তৈরি হল নিম্নচাপ এবং ঝড় বিদ্যুৎসহ বৃষ্টির আশঙ্কা। কারণ আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা দক্ষিণ চীন সাগরে তৈরি হওয়া ট্রপিক্যাল ঘূর্ণিঝড় ‘কোম্পাসু’ ধেয়ে আসতে পারে বঙ্গোপসাগরেও৷ আর তার জেরেই প্রভাব পড়তে পারে ভারতে।
কার্যত এখন হংকং এলাকার দক্ষিণ পূর্বে ও ম্যানিলা এলাকার উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়টি। আবহাওয়াবিদদের মতে ক্রমশ ঘন্টায় ২০ কিলোমিটার গতিবেগে তা এগিয়ে আসছে স্থলভাগের দিকে। তবে স্থলভাগের আছড়ে পড়ার সাথে সাথেই গতিবেগ ভীষণরকম বাড়াবে এই ঝড়। বিশেষজ্ঞদের অনুমান অনুযায়ী, স্থলভাগের আছড়ে পড়ার সাথে সাথেই এর সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় প্রায় ৯০ কিলোমিটার।
জানিয়ে রাখি ইতিমধ্যেই কোম্পাসু-কে ক্যাটাগরি-১ হ্যারিকেন হিসেবে মান্যতা গিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। যদিও এর মূল তাণ্ডবের আশঙ্কা রয়েছে হংকংয়েই। ইতিমধ্যেই সেখানে সতর্কতা হিসেবে স্কুল-কলেজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকি উপকূলবর্তী এলাকাগুলি থেকে মানুষজনকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে ভারতেও। ভারতে মূলত এর প্রভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টি এবং নিম্নচাপের আশঙ্কা রয়েছে।
একদিকে যেমন চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে চীনের আক্রমণ চালাবে এই কোম্পাসু তেমনি টোনকিন উপসাগরে পৌঁছানোর পর ক্রমশ গতিবেগ বাড়িয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এই ঝড়। আবহাওয়া দপ্তরের মতোই শুক্রবার থেকেই এই ঝড় আর পশ্চিমে দক্ষিণ ভিয়েতনামের দিকে এগিয়ে যাবে। অন্যদিকে শনিবার বিকেল থেকে বাংলাতেও সম্ভাবনা রয়েছে ঝড়-বৃষ্টির। আবহাওয়াবিদদের মতে শনিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২ ডিগ্রির আশেপাশে। একইসঙ্গে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ থাকবে ৭০ শতাংশ। একইসঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে রবিবারও।