বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলা বিনোদন জগতের অত্যন্ত দাপুট একজন অভিনেত্রী হলেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Koneenica Banerjee)। বাংলা সিরিয়ালের পাশাপাশি তাঁর ঝুলিতে রয়েছে বেশ কিছু জনপ্রিয় বাংলা সিনেমাও। তবে জি বাংলার জনপ্রিয় কুকারী শো ‘রান্নাঘর’ সঞ্চালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বেশ কিছুদিন ধরেই শিরোনামে উঠে এসেছেন এই অভিনেত্রী (Koneenica Banerjee)।
অবসাদ নিয়ে অকপট কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Koneenica Banerjee)
দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে এই শো সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। তাই এই রান্নার অনুষ্ঠান আবার ফেরানোর খবর শুনে দর্শকরা আবার তাঁকেই সঞ্চালিকা হিসাবে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যায় সুদীপার পরিবর্তে এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন কনীনিকা (Koneenica Banerjee)। আর এই ভাবে অনুষ্ঠান থেকে বাদ পড়ায় দর্শকদের মতোই কষ্ট পেয়েছিলেন খোদ সুদীপাও।
সেকথা জানিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলা চিঠি লিখেছিলেন তিনি। একটা সময় অভিনয় দিয়ে কেরিয়ার শুরু করলেও সুদীপাকে খ্যাতি এনে দিয়েছিল জি বাংলার এই রান্নার অনুষ্ঠান। অন্যদিকে কনীনিকাও অভিনয় করছেন খুব ছোট থেকে। খুব অল্প বয়স থেকেই এই পেশার সাথে যুক্ত রয়েছেন তিনি। তবে কনীনিকার অভিনয়ের পথ মসৃণ ছিল না কোনোদিনই।
শুরু থেকেই জীবনে নানান ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তিনি। সেকথা জানিয়েই অভিনেত্রী জানান, একটা সময় অবসাদও ঘিরে ধরেছিল তাঁকে। এপ্রসঙ্গে একবার এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ভাল হওয়া, খারাপ হওয়া, ভাল ছেলে বাজে ছেলে, ভাল মেয়ে বাজে মেয়ে , সবটা নির্ভর করে নিজের চাহিদা, এবং সে নিজে কী করতে চায় তার ওপর। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমার বাবা-মা-কাকাকে বাদ দেওয়া যায় না, অসম্ভব সাপোর্ট আমি পেয়েছি। আমার বোন আমায় খুব সাপোর্ট করেছে।’
আরও পড়ুন : ‘ফুলকি’র মাস্টারস্ট্রোক! ভরা জনসভায় খসে পড়ল রুদ্রর মুখোশ
অভিনেত্রী জানিয়েছেন একটা সময় এমনও গিয়েছে যখন তাঁর মা তাঁর সঙ্গে থাকতেন বলে বোন বাড়িতে একই পড়াশোনা করতেন। কনীনিকা জানিয়ছেন, ‘আমি খুব ছোটবেলা থেকে কাজ করছি। আমায় সবসময় আগলে রাখা হয়েছিল। আমি যেখানে যেখানে শুট করতে গিয়েছি, সেখানেই তাঁরা আমার সঙ্গে গিয়েছেন। শুধ সাপোর্ট নয়, থেরাপিরও কাজ করতেন তারা।’
এরপরেই এদিন অবসাদ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘ আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা যাঁরা অভিনেতারা কাজ করি, আমরা হতাশায় ভুগি। এই যে দেখবেন, এত আত্মহত্যা, অবসাদে চলে যাওয়া, কারণ আমরা খুব ভাল ব্যকগ্রাউন্ট পাই না। ব্যাকগ্রাউন্ড বলতে, সাপোর্ট সিসটেম, ভাল বন্ধু, এটা থাকতে হবে।’