টুইটারে ছাঁটাই হওয়া কর্মীদেরকেই কাজে লাগাতে চায় Koo! দেওয়া হল চাকরির প্রস্তাবও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার (Twitter)-কে কিনে নিয়েছেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনকুবের ইলন মাস্ক (Elon Musk)। যদিও, ঠিক তারপর থেকেই বারংবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম এই প্ল্যাটফর্ম। এমনকি, টুইটারের মালিকানা হাতে পাওয়ার পরই একাধিক রদবদলের পাশাপাশি সংস্থার প্রায় অর্ধেক কর্মীকেও ছাঁটাই করে ফেলেছেন মাস্ক। এমতাবস্থায়, স্বাভাবিকভাবেই তা প্রশ্নের উদ্রেক করেছে সর্বত্র।

এমনকি, পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে যায় যে, কর্মীরা নিজে থেকেও ইস্তফা দিতে শুরু করেছেন টুইটার থেকে। এমনকি, প্রতিবাদের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। ইতিমধ্যেই ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছে #RIPTwitter। সবমিলিয়ে এক অস্থিরতার মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই মাইক্রোব্লগিং সাইটটি। এমতাবস্থায়, টুইটার থেকে ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের কাছে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হল ভারতীয় মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম “Koo”।

শুধু তাই নয়, ওইসব কর্মীদের “Koo”-তেই চাকরির সুযোগ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে “Koo”-এর যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা মায়াঙ্ক বিড়ওয়াৎকা নিজেই একটি টুইটের মাধ্যমে এই ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। টুইট মারফত তিনি জানিয়েছেন যে, “আমার খুবই দুঃখ লাগছে এই #RIPTwitter এবং অন্যান্য হ্যাশট্যাগগুলি দেখে। আমরা টুইটারের কিছু প্রাক্তন কর্মীকে নিয়োগ করতে চাই।”

পাশাপাশি, তিনি আরও জানান, “আমরা আমাদের এই সংস্থার সম্প্রসারণ করে আরও বড় হওয়ার পরের ধাপে পৌঁছতে চাইছি। এমতাবস্থায়, তাঁদের প্রতিভা মূল্যবান। তাই তাঁদের কাজ করার অধিকার রয়েছে। মাইক্রো ব্লগিং ব্যক্তির শক্তির কথা বলে। কখনোই অবদমনের নয়।”

এদিকে, টুইটারের এহেন পরিস্থিতির আবহেই কিন্তু হু হু করে জনপ্রিয়তা বাড়ছে “Koo”-র। এমনকি, ২০২০ সালের মার্চে পথচলা শুরু করেও ইতিমধ্যেই “Koo”-এর ডাউনলোড সংখ্যা ৫ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ট্রুথ সোশ্যাল, ম্যাস্টোডন, পার্লার ও গেটরের মত মাইক্রো ব্লগিং সাইটকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে “Koo”। সামগ্রিকভাবে পরিসংখ্যানের বিচারে টুইটারের পরই এখন “Koo” দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এমতাবস্থায়, দেশের গন্ডী ছাড়িয়ে এবার আন্তর্জাতিক মহলেও আত্মপ্রকাশের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে “Koo”। ঠিক সেই আবহেই টুইটারের ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের উদ্দেশ্যে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করলেন “Koo”-র যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা মায়াঙ্ক বিড়ওয়াৎকা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর