মারণ ভাইরাসে চিনে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫৬০। বেজিং সরকার তা ই বলছে। যদিও কানাঘুষো খরব, সত্যিটা চেপে দিচ্ছে কমিউনিস্ট পার্টি মৃতের সংখ্যা ২৫ হাজারের কাছাকাছি। সংক্রমিত অন্তত দেড় লাখ। মারণ ভাইরাসটি প্রথমে নজরে এসেছিল যে চিকিৎসকের, আজ তিনি মারা গিয়েছেন। সন্দেহ জোরদার হয়েছে একটি চিনা সংস্থার রিপোর্টে। তাতে দাবি করা হয়েছে, নোভেল করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৪,৫৮৯ জন। সরকারের বলা সাড়ে পাঁচশোর থেকে বহু গুন বেশি। তাইওয়েনের একটি সংস্থার কথায়, “টেনসেন্ট নামে ওই সংস্থাটি অনিচ্ছাকৃত ভাবে হলেও আসল মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ করে ফেলেছে”। এদের ওয়েবপেজে তাও জানানো হয়েছে, সংক্রমণের পরে সুস্হ হয়েছেন মাত্র ২৬৯ জন।
অনেকে এখনো বিশ্বাস করছেন , টেনসেন্ট ভুল করে তাদের রিপোর্টে ঐ সংখ্যাটি লিখেছে। যদিও একাংশের মতে, তাঁরা হয়তো ইচ্ছে করেই বাস্তব পরিস্থিতিটাকে প্রকাশ্যে আনতে চেয়েছেন। টেনসেন্ট এখনো বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। চিন আজ জানিয়েছে , তাদের দেশে রয়েছে এমন ১৯ জন বিদেশির শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঘটেছে। তবে তারা কোন দেশের তা সম্পর্কে কোনো মতামত প্রকাশ করা হয়নি।
ভারতসহ একাধিক রাষ্ট নিজের নিজের বাসিন্দাদের চিন থেকে এয়ারলিফটে করে নিয়ে এসেছে। ভারত নিজেদের ৬৪৫ জনকে উদ্ধার করেছে। কিন্তু এখনো ১০০ জন ভারতীয় হুবেই প্রদেশে রয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জনকে আনা যায়নি, কারন প্রবল জ্বর ছিল তাদের। ফলে চিনের ঘোষনায় আশঙ্কা ডানা বেঁধেছে । আক্রান্ত ১৯ জন বিদেশির মধ্যে তবে কি কোনো ভারতীয় রয়েছে?
চীনের এই পরিস্থিতিতে এয়ার ফ্রান্স কেএলএম জানিয়েছে, চিনে বিমান পরিষেবা ১৫ মার্চ পির্যন্ত বন্ধ থাকবে। এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো সহ একাধিক ভারতীয় উড়ান চিনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে।