অসুস্থ পিতাকে নিয়ে দুই কিমি ঠ্যালাগাড়ি করে দৌড়ায় অসহায় ছেলে! পুলিশ, ডাক্তার কেউ এগিয়ে আসেনা সাহায্যের জন্য

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজস্থানের (Rajasthan) কোটায় (Kota) করোনা সংক্রমণের মধ্যে প্রশাসনের একটি অমানবিক চেহারা সামনে এলো। এক ছেলে তাঁর অসুস্থ বাবাকে প্রায় দুই কিমি একটি ঠ্যালাগাড়িতে করে নিয়ে দৌড়াতে থাকে, কিতু রাস্তায় কেউ তাঁর সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনা। রাজস্থানের পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে দিয়েও যায় সে, কিন্তু একজন পুলিশও তাঁকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনা।

অসহায় সন্তান কখনো বাবা-কে সামলাচ্ছে, আবার কখনো নিজের হাতেই ব্যারিকেড দূরে সরাচ্ছে। সেই সময় পুলিশ কর্মীরা সামনে থেকে হাতে হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকে, কিন্তু কেউ তাঁর সাহায্য করেনা। অমানবিকতার সীমা তখন লঙ্ঘন হয়, জখন এমবিএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর, ডাক্তাররা অসুস্থ পিতা আর তাঁর ছেলে কে এক কামরা থেকে আরেক কামরায় দৌড় করায় শুধু।

মৃত ব্যাক্তির ছেলে মনিষ জানায়, হাসপাতাল প্রশাসন কখনো ১২৫ নং কামরা থেকে ১০৪ আবার কখনো অন্য কামরায় শুধু ক্যারমের গুটির মতো ঘুরপাক খাইয়ে যায়। শেষে ১০৪ ওপিডিতে পাঠানো হয় আর অসুস্থ ব্যাক্তির ইসিজি করানো হয়, এবং ওনাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

অমানবিকতার সীমা পার করা এই ঘটনা নিয়ে মৃতের ছেলে দুঃখ প্রকাশ করে বলে, আমি আমার অসুস্থ বাবার জন্য একটা অ্যাম্বুলেন্সও যোগাড় করতে পারিনি। এই মামলায় হাসপাতাল প্রশাসনের চরম উদাসীনতা সামনে এসেছে। এমনকি রাজস্থান পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রামপুরা এর ফতেহগড়ির হনুমান মন্দিরের পাশে থাকা সতিশ আগরবাল বাথরুম যাওয়ার সময় মাটিতে পড়ে যান। এই ঘটনার পর ওনার স্ত্রী গায়িত্রী আর মনিষ ১০৮ এ ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকে। কিন্তু দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও যখন অ্যাম্বুলেন্স আসেনা, তখন আহত বাবাকে নিয়ে মনিষ ঠ্যালাগাড়ি করে এমবিএস হাসপাতালের দিকে যায়। কিন্তু লকডাউনের সময় রাস্তায় পুলিশ থাকার পরেও কেও তাঁর সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনা। শেষ পর্যন্ত জীবনের সাথে লড়ে প্রাণ হারান সতিশ আগরবাল।

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর