বাংলাহান্ট ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু ট্রেন্ড এসেছে আর গিয়েছে। এখন ট্রেন্ড চলছে বয়কটের (Boycott Trend)। বলিউড হোক বা টলিউড, সর্বত্র সিনেমা বাতিল করার ধুম উঠেছে। বেশ কিছু ছবির কাহিনি কিংবা অভিনেতা অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু অভিনেতা কৌশিক সেনের (Koushik Sen) মতে, ধর্মটাই বয়কটের একমাত্র কারণ নয়।
সংবাদ মাধ্যমের হয়ে কলম ধরে বয়কট ট্রেন্ড নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করেছেন কৌশিক। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর ধর্ম একটা ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ধর্মীয় জিগির তুলে বয়কটকারীদের সংখ্যাটা তুলনামূলক কম। অভিনেতার মতে, বয়কটের ট্রেন্ডটা একটা হুজুগ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উদাহরণ স্বরূপ কয়েক মাস আগের কেকে রূপঙ্কর বিতর্ক টেনে এনেছেন কৌশিক। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীত শিল্পী কেকে সম্পর্কে যে মন্তব্যটা করেছিলেন তার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন সকলেই। কিন্তু রূপঙ্করের প্রয়াত মা, তাঁর পরিবার যে কটুক্তি, হেনস্থার শিকার হয়েছিল তা ছিল কে বেশি গালিগালাজ করতে পারে তার হুজুগ।
কৌশিকের মতে, সিনেমার দর্শক কমার ক্ষেত্রে আরো কয়েকটি বিষয় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথমত, এখন সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সকলেই নিজেদের অভিনেতা অভিনেত্রী বা পরিচালক বা ফিল্ম সমালোচক ভাবে। নিজেরাই নিজেদের সেলিব্রিটি বলে মনে করে।
দ্বিতীয়ত, কৌশিক সেনের মতে OTT প্ল্যাটফর্ম এসে ভালোর সঙ্গে সঙ্গে খারাপটাও হয়েছে। কারণ বাড়িতে বসে হাতের কাছে পেয়ে যাবে বলে অনেকেই টাকা খরচ করে হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে যেতে চান না। পাশাপাশি অভিনেতা হিসাবে নিজেদেরও দোষ দিয়েছেন কৌশিক সেন।
তাঁর মতে, লকডাউনের সময়ে টলিউডের খুব কম জনই গঠনমূলক কাজ করেছেন। নয়তো বেশিরভাগ জনই রিল বানিয়ে, নেচে গেয়ে বিনোদন দিয়েছে। এর ফলে অনেকেরই ধারণা হয়েছে, অভিনয় আসলে সহজ। যে কেউ অভিনেতা হতে পারে। শিল্পের প্রতি শ্রদ্ধা কমে যাচ্ছে মানুষের।
কৌশিক জানান, থিয়েটারের দর্শক কিন্তু কমেনি। কারণ এখনো অনেকেরই ধারণা, থিয়েটার করতে গেলে অনুশীলন লাগে। উপরন্তু থিয়েটার OTT তে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই থিয়েটারের দর্শকাসন হাউজফুল। কিন্তু সিনেমাহলগুলো মাছি তাড়াচ্ছে।