বাংলাহান্ট ডেস্ক: রামপুরহাটের অখ্যাত গ্রাম বগটুই (Bagtui Massacre) এর দিকে এখন নজর বাংলার রাজনৈতিক জগতের। সোমবার রাতে সেখানেই ঘটে গিয়েছে নারকীয় হত্যাকাণ্ড। তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখকে খুনের কয়েক ঘন্টা পরেই রাতের অন্ধকারে ভস্মীভূত হয়ে যায় গৃহবন্দি কয়েকজন মানুষ।
ঘুমের মধ্যেই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে গোটা বাড়ি। মৃত্যের সংখ্যা কোথাও সাত, কোথাও আট, কোথাও বা দশ বলে দাবি করা হচ্ছে। এমন নৃশংস একটা ঘটনা ঘটে গেল, অথচ শিল্পী মহলের অধিকাংশই নীরব। বেশিরভাগই মন্তব্য করবেন না বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন। অনেকের দাবি, এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না তাঁরা।
এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত যারা মুখ খুলেছেন সেই তালিকায় রয়েছে অভিনেতা কৌশিক সেন, শ্রীলেখা মিত্র, নাট্যব্যক্তিত্ব মনোজ মিত্রের মতো শিল্পীরা। কৌশিক সেনের বক্তব্য, পুরোটাই দখলদারি নিয়ে বিবাদের ফলাফল। বীরভূমের মতো জায়গায় এমনটা নতুন নয়।
তবে বাম আমলেও যে এমন ঘটনা ঘটেছে সেটা স্বীকার করেছেন কৌশিক সেন। তাঁর মতে, দেশে এখন প্রধান বিজেপি বিরোধী মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ভাবমূর্তিটা বাঁচাতে অপ্রীতিকর সিদ্ধান্ত কখনো কখনো নিতে হয়।
শ্রীলেখা মিত্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে। তাঁর কটাক্ষ, সাধারণ মানুষের হয়ে কথা বললে চলচ্চিত্র উৎসবের মুখ হওয়া যাবে না। পুরস্কার পাওয়া যাবে না। তাই তাঁরা চুপ। জুন মালিয়া নির্বাচনের সময়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রচার করেছেন। এখন তিনি শুটিং ফ্লোরে কথা বললে ‘বকা’ খাবেন। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নিশ্চুপ থাকা নিয়েও কটাক্ষ শানিয়েছেন শ্রীলেখা।
বুদ্ধিজীবীদের সরব হওয়ার ভরসায় না থেকে আমজনতার প্রতি শ্রীলেখার পরামর্শ, ন্যাকা ন্যাকা পোস্ট না করে এই অন্যায়ের বিচান চান। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখে যারা চোখের জল ফেলেছেন, এত বড় একটা নারকীয় ঘটনা দেখেও কি তাদের বুক কাঁপছে না? প্রশ্ন শ্রীলেখার।
তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ! কল্যাণের ‘মাথায় কার হাত!’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তৃণাঙ্কুর