বাংলা হান্ট ডেস্ক : সাগরদিঘী নির্বাচন (Sagardighi Election) যেন বঙ্গ কংগ্রেসের (West Bengal Congress) প্রায় কোমায় চলে যাওয়া সংগঠনকে যেন হঠাৎই সংবেদনশীল করে তুলেছে। গতকাল সময় যত এগেয়েছে, বায়রন বিশ্বাসের (Bayron Biswas) জয় যত নিশ্চিত হয়েছে ততই উল্লাস বেড়েছে কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে। আর এই পরাজয় কিন্তু মেনে নিতে পারেননি গত বিধানসভায় ২১৫ টি আসন পাওয়া তৃণমূলের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। হারের ধাক্কায় মেজাজ হারিয়ে অভিযোগ করেছেন একাধিক বিষয়ে। করেছেন ব্যক্তিগত আক্রমণও। পাল্টা জবাব দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচিও (Koustav Bagchi)।
কী বলেছেন মমতা? সাগরদিঘীর পরাজয়ের পর সাংবাদিক সম্মেলন করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ত্রিপুরায় তৃণমূলের ভরাডুবি ও মেঘালয়ে টেনেটুনে পাশ করা প্রসঙ্গে সাফাই দেন। এরপরই প্রসঙ্গ আসে সাগরদিঘীর। তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক বলে পরিচিত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ওই এলাকায় হার মেনে নিতে পারেন নি তিনি। সাংবাদিকদের সামনেই সরাসরি ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। বহু বছর আগে ঘটে যাওয়া এক ঘটনাকে টেনে আনেন মমতা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অধীর চৌধুরী আজ অনেক কথা বলছেন। আমি যদি তাঁর মেয়ের আত্ম হত্যার ঘটনা টেনে আনি? তাঁর ড্রাইভার কিভাবে মারা গেল যদি জিজ্ঞাসা করি, কোনও উত্তর দিতে পারবেন তিনি?’ এরপরই রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমাকে মুখ খোলাবেন না। আমি অনেক কিছু জানি। আমি মুখ খুললে কিন্তু অনেক কিছুই সামনে আসবে।’
কৌস্তুভ বাগচি কী বলেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের জাবাব দিতে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন তরুণ কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচী। তিনি বলেন, ‘সাগরদিঘীর হারের পর মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন তা মেনে নেওয়া যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার মানুষের এবার চিনে যাওয়া উচিত। কংগ্রেস শিষ্ঠাচার মেনেই রাজনীতি করে, ভবিষ্যতেও তাই করবে। মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন বলে আমাদেরও করতে হবে তা আমি মনে করি না।’
কৌস্তব আরও বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে যেভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন তা ন্যাক্কারজনক। এর প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল চেহারা মানুষের সামনে তুলে ধরতে দীপক ঘোষের লেখা বইটি পড়তে অনুরোধ করব।’ শুধু তাই নয়, এই বইটির সফট কপিও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করার ঘোষণা করেন তিনি।