বাংলাহান্ট ডেস্কঃ অবশেষে অনলাইন প্রতারনার সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। জানা যাচ্ছে ঐ ৫ জনই ঝাড়খন্ডের কুখ্যাত জামতারা গ্যাং এর সদস্য। দেড় কোটি টাকা প্রতারনার অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে। কলকাতা পুলিশ গত ১ ফেব্রুয়ারী এই গ্যাঙের একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাকে জেরা করেই বাকিদের খোঁজ পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৫০ টির অভিযোগ রয়েছে বলেই জানাচ্ছে কলকাতা পুলিশ।
কিভাবে হত এই প্রতারনা?
প্রতারকরা ফোন মারফত যোগাযোগ করত মানুষের সাথে। অনলাইনে ভুয়ো কাস্টমার কেয়ার নম্বর ছড়িয়ে দিয়েছে তারা। ঐ নম্বরে ফোন করলেই কৌশলে জেনে নিত ইউপিআই আইডি । তারপর নিজের ইউপিআই আইডি থেকে ওই ব্যক্তির ইউপিআই আইডিতে টাকা দেওয়ার পরিবর্তে টাকা নেওয়ার জন্য রিকুয়েস্ট পাঠাত।আর অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি টাকা পাওয়ার আশায় সেই রিকুয়েস্টকে ‘Accept’ করে নিজেদের ইউপিআই পিন দিলেই ব্যঙ্ক থেকে টাকা উধাও।
এই প্রতারনা যেমন সহজ তেমনই সহজ এই প্রতারনা এড়িয়ে যাওয়াও সম্ভব। প্রয়োজন শুধু একটু সচেতনতা ও সতর্কতা। এরকম কোনো রিকুয়েস্টকে ‘Accept’ করবেন না। বরং তা deny করুন। তাহলেই আর কোনো প্রতারনার সম্ভাবনা থাকে না।
প্রসঙ্গত, এটিএম স্কিমিং অথবা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্যান্য মারফত টাকা প্রতারিত হলে সেগুলির ক্ষেত্রে টাকা ফেরত পাওয়া সম্ভব হয়ে থাকে।কিন্তু ইউপিআই আইডি থেকে এই রকম উপায়ে প্রতারিত হলে কোনোরকম ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। মনে রাখবেন, টাকা পাঠাতে হলেই পিন লাগে, টাকা গ্রহন করতে কোনো রকম পিন বা পাসোয়ার্ড লাগে না। এরকম কিছু হলে পুলিশের সাইবার সেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যোগাযোগ করুন।