বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নাবালকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা। এদিকে বঞ্চিত হচ্ছেন শতাধিক কৃষক। এবার শিরোনামে উঠে এল কৃষকবন্ধু প্রকল্প (Krishak Bandhu Scheme) নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের টাকা যাচ্ছে বিহারের অ্যাকাউন্টে। প্রশাসন অবধি এই দুর্নীতি নিয়ে অবগত নয়। প্রশাসনে বেশি লোক বিজেপির, দাবি রাজ্যের শাসক দলের (Government of West Bengal)। পাল্টা দিয়েছে গেরুয়া শিবিরও।
জানা যাচ্ছে, কৃষকদের নামে আইডি সক্রিয় হলেও টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে। নাবালকদের অ্যাকাউন্ট বানিয়ে সেখানেও টাকা ঢোকানো হচ্ছে। এর ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন বহু কৃষক। এই দুর্নীতির নেপথ্যে সক্রিয় দালাল চক্র রয়েছে বলে খবর। তবে প্রশাসনের কাছে কোনও খবর নেই। দুর্নীতি নিয়ে TMC-র দাবি, প্রশাসনে বিজেপির লোকেরা রয়েছে। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, TMC-র মদতেই সম্পূর্ণ দুর্নীতি হচ্ছে।
মালদার হরিশচন্দ্রপুর ২ নং ব্লকের তেলজান্না সুইস গেট অঞ্চলের ১০০-রও বেশি কৃষক কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা পাননি। স্থানীয় সিএসপিতে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, নাবালকদের অ্যাকাউন্টে তাঁদের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা ঢুকেছে। একজনের কাছেই ১০০-১৫০টি অ্যাকাউন্ট থাকছে। এর মাধ্যমেই দুর্নীতি চলছে। শুধু তাই নয়, একটি পরিবারের ৫-৬ জন নাবালকের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ মহুয়ায় অরুচি কৃষ্ণনগর শহরে, ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৪টিতেই জিতে রেকর্ড BJP-র
পড়শি রাজ্য বিহারে অবধি বাংলার কৃষকদের টাকা ঢুকছে। কীভাবে সম্ভব এই জালিয়াতি? প্রশাসনিক আধিকারিকদের কথায়, কৃষকদের তরফ থেকে তাঁদের আছে লিখিত কোনও অভিযোগ আসেনি। যদি আসে তাহলে তাঁরা সেই মর্মে তদন্ত করবে। প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে বিডিওর গলায়। তিনি বলেন, ‘কোনও কৃষক আমাদের এখনও অভিযোগ জানাননি। এমন ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কাছে এসে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানান’।
কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের আবার দাবি, এই সংবাদটিই ঠিক নয়। তিনি বলেন, ‘কোনও একজন সিএসপি কর্মী এই সংবাদটি করিয়েছেন। আমরা এই বিষয়ে বিডিওকে জানিয়েছি। তাঁকে দিয়ে তদন্ত করাই। সিএসপি কর্মী এই সংবাদ বলে বিক্ষোভের পরিস্থিতি তৈরি করেন। ওই অঞ্চলের সকল কৃষক তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়ে গিয়েছেন। কোনও নাবালকের অ্যাকাউন্টে টাকা যায়নি। তদন্তেই সেকথা জানা গিয়েছে’।